অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার পর ২০১৬-১৭ মৌসুমে রহমতগঞ্জে খেলা শাজাহান এতদিন এদিক-ওদিক থেকে সাহায্য নিয়ে ডায়ালাইসিস করছিলেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল কদিন আগে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু সেরে উঠতে কিডনি প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে জানালেন ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
“২০১৬-১৭ মৌসুমের শেষে অসুস্থ হওয়ার পর পরীক্ষা করিয়েছিলাম। দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে আমার। এতদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য নিয়ে ডায়ালাইসিস করছিলাম। কিন্তু এখন আর পারছি না।”
“চেন্নাইয়ে গিয়েছিলাম অনেক আগে। সেসময় ডাক্তাররা বলেছিলেন, কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন-তিনি আমার পাশে দাঁড়ান। আমি বাঁচতে চাই।”
শাজাহানের দুই ভাই ও এক বোন। দুই ভাইয়ের একজন চাকরি করেন, অন্যজন চায়ের দোকানদার। বাবা চায়ের দোকানেই কাজ করেন। পরিবারের পক্ষে প্রতি মাসে ডায়ালাইসিসের খরচ দেওয়া সম্ভব নয়।”
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা এর আগে পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেও জানালেন শাজাহান। কৃতজ্ঞতা জানালেন তাদের প্রতিও।