আরামবাগের বিপক্ষে উত্তর বারিধারার রোমাঞ্চকর জয়

দুর্দান্ত জয়ে প্রথম ম্যাচে হারের হতাশা কাটিয়ে উঠল উত্তর বারিধারা। বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্টের পরও প্রথমার্ধেই তারা গোল পেল তিনটি! দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘও। শেষ পর্যন্ত পাঁচ গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ জিতে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল শেখ জাহিদুর রহমানের বারিধারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Dec 2020, 01:28 PM
Updated : 26 Dec 2020, 04:21 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে উত্তর বারিধারা।

প্রথম ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা। ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করা আরামবাগ পেল প্রথম হারের তেতো স্বাদ। দুই ম্যাচে ৩ করে পয়েন্ট দুই দলের।

দুর্ভাগ্য বারবার পথ আগলে দাঁড়াচ্ছিল শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলা উত্তর বারিধারার। ২২তম মিনিটে অধিনায়ক সুমন রেজার শট পোস্টে লেগে ফিরে।

এর দুই মিনিট পর মোস্তফা আব্দেল খালেক হাম্মাদের নিচু ক্রস টোকায় জালে জড়িয়ে দলকে এগিয়ে নেন সুমনই।

৩০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে উত্তর বারিধারা। বক্সের মধ্যে ডিফেন্ডারের পায়ে বল লেগে ফিরে আসার পর নিখুঁত চিপে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন সুজন বিশ্বাস। সাত মিনিট পর সতীর্থের আড়াআড়ি পাসে চিজোবা ক্রিস্টোফারের শটে ম্যাচে ফেরে ২০১৬ সালের রানার্সআপ আরামবাগ।

 ৪৩তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ছুটে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া সুমনের শট আবারও পোস্টে লেগে ফিরে। এক মিনিট পর মাঝমাঠের একটু ‍ওপর থেকে বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় স্কোরলাইন ৩-১ করেন মিশরের ফরোয়ার্ড হাম্মাদ।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে রক্ষণের ভুলে বল পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি হাম্মাদ। টাইমিংয়ে গড়বড় করে পরে শট নিলেও ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে পোস্টের বাইরে যায় তার শট। ম্যাচের নাটাই মুঠোয় থাকায় রক্ষণে মনোযোগ আরও বাড়ায় উত্তর বারিধারা। তাই কোণঠাসা আরামবাগ কিছুটা গুছিয়ে উঠলেও সুবিধা করে উঠতে পারছিল না।

৭৫তম মিনিটে মিরাজ মোল্লার ক্রসে ডি-বক্সের ঠিক ওপর থেকে নিহাত জামান উচ্ছ্বাসের হেড চোখের পলকে মামুন আলিফের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ালে জমে ওঠে ম্যাচ।

পরের মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করে সুজন। হাম্মাদের কাটব্যাকে ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে এই ফরোয়ার্ডের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে ব্যবধান আর বাড়েনি।