গত মৌসুমে লা লিগায় সর্বোচ্চ গোল করার পুরস্কার হিসেবে সোমবার আর্জেন্টাইন তারকার হাতে ট্রফি তুলে দেয় মার্কা। পরে স্প্যানিশ পত্রিকাটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গত ও বর্তমান মৌসুমের নানা দিক নিয়ে কথা বলেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
বিশেষ করে দর্শকশূন্য মাঠে খেলা একদম ভালো লাগছে না রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারের।
“দর্শকশূন্য মাঠে খেলা ভয়ানক, খুবই বাজে অনুভূতি…মাঠে কাউকে না দেখতে পাওয়া একটা ট্রেনিং সেশনের মতো। এভাবে ম্যাচ শুরু করা সত্যিই খুবই কঠিন।”
মাঠে দর্শক না থাকার বিষয়টি বাজেভাবে প্রভাব ফেলছে মেসি ও বার্সেলোনার ওপর। গত মৌসুমে করোনাভাইরাসের কারণে যখন লিগ বন্ধ হয়ে যায় তখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল বার্সেলোনা, বাকি ছিল ১১ রাউন্ডের খেলা। পুরনায় শুরু হওয়া লিগে সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি কাতালান দলটি। সেই সুযোগে লিগ জিতে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ।
লিসবনে চ্যাস্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকেও তারা ছিটকে পড়ে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে।
চলতি মৌসুমের শুরুটাও তাদের ভালো হয়নি। লিগ টেবিলে তাদের অবস্থান পাঁচে। লিগে তাদের সবশেষ এমন বাজে অবস্থায় দেখা গিয়েছিল ৩৩ বছর আগে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ২০০৬ সালের পর এবারই প্রথম তারা নকআউট পর্বে উঠেছে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে।
২০০৭-০৮ আসরের পর মেসিরও এটিই সবচেয়ে বাজে মৌসুম। সব প্রতিযোগিতা মিলে তার গোল ৯টি, এর পাঁচটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে।
মাঠে দর্শক না থাকার বিষয়টি ম্যাচে প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন মেসিও।
“সত্যিটা হলো, এটা খুবই কুৎসিত, আর এই কারণেই আমরা এমন সব ম্যাচ দেখছি। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, জয় পাওয়াটা খুব কঠিন।”
“ফুটবলে অনেক পরিবর্তনের কারণ এই মহামারী, পরিবর্তনটা খারাপের দিকে। ম্যাচগুলোর দিকে খেয়াল করলে তা বুঝতে পারবেন। আশা করি, দ্রুতই এই অবস্থা কেটে যাবে এবং আমরা মাঠে দর্শক ফেরাতে পারব, ফিরতে পারব স্বাভাবিক জীবনে।”
স্পেনের শীর্ষ ফুটবলে মাঠে দর্শক নেই গত মার্চ থেকে। দেশটির জনসংখ্যার বড় একটা অংশ ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিলে আগামী এপ্রিল থেকে মাঠে দর্শক ফিরতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মৌসুমের পিছিয়ে যাওয়া রিয়াল সোসিয়েদাদ-আথলেতিক বিলবাও কোপা দেল রে ফাইনাল ম্যাচ হবে আগামী ৪ এপ্রিল; স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর- এই ম্যাচ দিয়ে দেশটিতে মাঠে ফিরতে পারে দর্শক।