কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়াতে ফেডারেশন কাপে কড়াকড়ি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে ফেডারেশন কাপ দিয়ে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের ২০২০-২১ মৌসুম। সংক্রমণ এড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Dec 2020, 01:02 PM
Updated : 21 Dec 2020, 01:50 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বসুন্ধরা কিংস ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ফেডারেশন কাপ।

করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে স্থগিত থাকার পর নভেম্বরে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে বাংলাদেশ। ওই সিরিজের সময় নানা উদ্যোগ নিয়েও মাঠে বাড়তি দর্শক সমাগম আটকাতে ব্যর্থ হয় বাফুফে। তেমন পরিস্থিতি এড়াতে ফেডারেশন কাপে দর্শকদের ক্লাব থেকে টিকেট নিতে হবে বলে জানিয়েছেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।

“সরকারের যে নীতিমালা আছে…দর্শকের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। অবশ্যই যারা মাঠে যাবেন, তাদেরকে টিকেট নিয়ে মাঠে যেতে হবে। ক্লাবগুলোকে আমরা টিকেট পাঠিয়ে দিব। সেখান থেকে টিকেট নিয়ে তাদের মাঠে প্রবেশ করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে বসতে হবে।”

খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ক্লাবগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।

“ক্লাবগুলোকে পুনরায় আমরা চিঠি দিয়েছি। তাদেরকে বলে দিয়েছি যেসব খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারা মাঠে প্রবেশ করবে, তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল বাফুফের সচিবালয়ে জমা দিতে হবে, শুধুমাত্র যারা নেগেটিভ তারাই মাঠে প্রবেশ করতে পারবে।”

“বাফুফে থেকে আমরা একজন অফিসারকে দিয়েছি, যিনি এসব বিষয়ে ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। বাফুফের মেডিকেল কমিটি, ক্লাবগুলোর মধ্যস্ততাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কোভিড-১৯ পরীক্ষা হচ্ছে কিনা দেখবেন এবং ফলগুলো সংগ্রহ করবেন এবং সেই অনুযায়ী তাদের মাঠে উপস্থিত নিশ্চিত করার মতো কাজগুলো তিনি করবেন।”

“ক্লাবগুলোকে মাসে ন্যূনতম দুইবার আমাদের কাছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল দিতে হবে। প্রথম ম্যাচের আগে একবার ফল দিলাম, বাকি সময়টা আর খোঁজ থাকবে না, তা হবে না। ন্যুনতম ‍দুইবার দিতে হবে।”

স্টেডিয়াম ও তার চারপাশের এলাকা জীবনামুক্ত করা হবে বলেও জানান সাধারণ সম্পাদক।

মাঠে যে সেনিটাইজেশন ব্যবস্থা, সেটা আমরা শুরু করেছি। আগামীকাল সকালে মাঠ স্যানিটাইজ করা হবে। প্রতিদিনই মাঠ জীবনামুক্ত করা হবে কিনা, সেটা আমি এখনই বলতে পারছি না। নেপাল ম্যাচের সময় আমরা সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় যেভাবে কাজটি করেছি, ঘরোয়া টুর্নামেন্টের বেলায়ও একইভাবে করা হবে। প্রতিদিন এটা করা সম্ভব হবে কিনা…তবে আমরা মেডিকেল কমিটির কাছ থেকে একটা গাইডলাইন পেয়েছি, সেটা অবশ্যই পালন করব।”