সূচি নিয়ে ক্ষুব্ধ জিদান ও কুমান

প্রায় সব ব্যাপারে তাদের ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। তবে সূচির ব্যাপারে যেন একমত জিনেদিন জিদান ও রোনাল্ড কুমান। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে চিন্তিত দুই কোচ খেলার সূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2020, 05:19 PM
Updated : 20 Nov 2020, 05:19 PM

করোনাকালে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। ঠাসা সূচির কারণে বাড়ছে চোটাক্রান্তের সংখ্যা। এর প্রভাব পড়ছে মাঠের ফুটবলে।

আগামী ৩৩ দিনে দশটি ম্যাচ খেলবে রিয়াল। এর প্রথমটি শনিবার লা লিগায়, ভিয়ারিয়ালের মাঠে। একই দিন আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে খেলবে বার্সেলোনা। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের কোচই সূচি নিয়ে অসন্তুষ্টির কথা জানান।

চোটে অনেক বেশি খেলোয়াড় হারানো রিয়াল কোচ জিদানের ক্ষোভ একটু বেশি।

“সূচির দিকে তাকিয়ে আমি যা বলতে পারি তা হলো, এটা বাড়াবাড়ি।”

“এটা এমন একটা বিষয় যা আমাকে চিন্তায় ফেলে দেয়। খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্যের ব্যাপারটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আমি তাই সবসময় এদিকে নজর রাখি এবং বিষয়টি নিয়ে আজ কথা বলতে চাই। আমি জানি, যারা সূচি করেছেন তারা অনেক বিষয় মাথায় রেখেই করেছেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভুক্তভোগী খেলোয়াড়রাই। তারা বিশ্রাম না পেলে ভালো খেলতে পারবে না।” 

বার্সেলোনার সব অ্যাওয়ে ম্যাচ (স্থানীয় সময়) রাত নয়টায় রাখায় বেশি ক্ষুব্ধ কুমান। কাম্প নউয়ের দলটির কোচের মতে, এতে ম্যাচ শেষে ঘরে ফিরে পরের ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য মেলে না যথেষ্ঠ সময়।

“আমি বুঝি না, আমাদের সব অ্যাওয়ে ম্যাচ কেন রাত ৯টায়। রাশিয়া বা ইউক্রেনের মতো দেশে সব ম্যাচ খেলা হয় সন্ধ্যা সাতটায়, আর আমাদের খেলতে হবে রাত ৯টায়।”

“আমি বুঝি, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ বলে সবাই আতলেতিকো-বার্সা ম্যাচ দেখতে চায়, তাই এটা রাত ৯টায়; কিন্তু শনিবারের অন্য অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোও আমাদের রাত ৯টায় খেলতে হয়। এই সব ম্যাচের পর অনেক দেরিতে ঘরে ফিরতে হয় এবং এবং মঙ্গলবার আবার খেলতে হয়।”

এমন ঠাসা সূচি খেলোয়াড়দের জন্য সহায়ক নয় বলে মনে করেন ডাচ কোচ।

“এটা খেলোয়াড়দের সাহায্য করে না, যাদের প্রতি তিন দিনে একটি করে ম্যাচ খেলতে হবে। আমাদের অবশ্যই বড় ক্লাবগুলো এবং খেলোয়াড়দের নিয়ে ভাবতে হবে।”

করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠে রিয়াল দলে ফিরেছেন এদের মিলিতাও, এদেন আজার ও কাসেমিরো। চোট কাটিয়ে নাচো ও দানি কারভাহাল ফিরতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জিদান। তবে চোটের জন্য রামোস ছাড়াও দলের বাইরে রয়েছেন ফেদে ভালভেরদে ও আলভারো ওদ্রিওসোলা। ভারানেকে নিয়েও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ফরাসি কোচ।

বার্সেলোনা শিবিরেও পড়েছে চোটের থাবা। ফিলিপে কৌতিনিয়ো ফিরলেও দলের বাইরে রয়েছেন আনসু ফাতি, সামুয়েল উমতিতি, রোনালদ আরাহো, সের্হিও বুসকেতসরা।