আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রাথমিক দলে ঠাঁই পাওয়া ৩৬ খেলোয়াড় নিয়ে আগামী শুক্রবার শুরু হবে ক্যাম্প। এ উপলক্ষে বুধবার অনলাইন মিটিংয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন নাবিল। জানান, নেপাল ম্যাচের আগে ফুটবলারদের তিন দফা কোভিড-১৯ পরীক্ষার কথা।
“ক্যাম্পে আসার আগে খেলোয়াড় ও স্টাফদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার এক সপ্তাহ পর এবং ম্যাচ শুরুর আগে ১০ অক্টোবর আরেক দফা পরীক্ষা হবে।”
“বাংলাদেশে আসার ৭২ ঘণ্টা আগে নেপালের খেলোয়াড়দেরও পরীক্ষা করাতে হবে। কেউ পজিটিভ হলে আসতে পারবে না। ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের যখন পুনরায় পরীক্ষা করা হবে, তখন নেপালের খেলোয়াড়দেরও পরীক্ষা করা হবে।”
করোনাভাইরাসের থাবায় গত মার্চে খেলাধুলা বন্ধ হওয়ার পর ছুটিতে ইংল্যান্ডে চলে যান কোচ জেমি ডে। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া ফেরেন ডেনমার্কে। তাদের আসার দিনক্ষণও জানালেন নাবিল।
“বিদেশে থাকা কোচিং স্টাফদের ২৯ অক্টোবর ফেরার কথা। আশা করছি, (ফিনল্যান্ড প্রবাসী ডিফেন্ডার) তারিক কাজী ২৮ অক্টোবর, জামাল ২৯ অক্টোবর ফিরবে। প্রস্তুতি হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে।”
“দেশে ফেরার আগে কোচরাও ইংল্যান্ডে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করবে। তারা ফেরার কয়েক দিন পর আরেক দফা পরীক্ষা হবে। এ কয়দিন তারা দল থেকে দূরে থাকবে। তবে মাঠে থেকে তারা প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।”
একেবারে খালি স্টেডিয়ামে খেলাটা একটু ‘অস্বাভাবিক’ মনে হওয়ায় বাফুফের চাওয়া মাঠে কিছু দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া। তবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আগামী ২৫ অক্টোবরের বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান নাবিল।
“এই সময়ে খেলাধুলা আয়োজন করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা যা-ই করব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই করব। এই পরিস্থিতিতে কোনো কিছুই পুরোপুরি নিরাপদ নয়। তবে আমাদের লক্ষ্য বিপদের মাত্রা ন্যূনতম করা এবং খেলোয়াড়দের নিরাপদ রেখে ম্যাচগুলো আয়োজন করা।”