সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রার্থী নেই সমন্বয় পরিষদে!

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সভাপতি ছাড়া বাকি পদগুলোতে প্রার্থী দিয়েছে সমন্বয় পরিষদ। বোর্ড প্রধানের পদে প্রার্থী না দেওয়ার কোনো কারণও জানায়নি তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2020, 11:11 AM
Updated : 1 Oct 2020, 11:11 AM

আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন। সে উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করে এই পরিষদ। সেখানে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা পুনরুদ্ধার, র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি, জেলা-বিভাগীয় পর্যায়ে ফুটবলকে ছড়িয়ে দেওয়ার মতো প্রতিশ্রুতি আছে।

বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ৩৬ দফা ইশতেহার দিয়েছে। সভাপতি পদে আরেক প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক দিয়েছেন ২১ দফা ইশতেহার।

সমন্বয় পরিষদের হয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম।

চার সহ-সভাপতি পদে লড়বেন আট জন প্রার্থী। সমন্বয় পরিষদের তিন জন এ পদে লড়বেন। এই প্যানেলের ১৯ প্রার্থীর মধ্যে বাকিরা লড়বেন সদস্য পদে। মোট ১৫ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে ইশতেহার ঘোষণা করতে এসে সভাপতি পদে প্রার্থী না দেওয়া নিয়েই সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখোমুখি হন সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

সালাউদ্দিনের কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকা এবং এবার সমন্বয় পরিষদে যোগ দেওয়া মহিউদ্দিন আহমেদ দেন সে সব প্রশ্নের উত্তর।

“এই ১৯ জনের বাইরে আমাদের আর কোনো প্রার্থী নেই। আর কোনো প্রার্থী দেইনি আমরা। কারণ, আমরা মনে করি, আমাদের এই সিনিয়র, জেলা এবং ক্লাবের প্রতিনিধিরা যদি পাস করেন, তাহলে বাফুফের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমাদের বাইরে রেখে হওয়ার সুযোগ নেই।”

“বাফুফের সভাপতি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নয়। সেখানে সব সিদ্ধান্তই নির্বাহী কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত নিয়ে পাস হয়। তাই আমাদের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী না থাকলেও সমস্যা নেই। আমাদের এই প্রার্থীরা পাস করলে আমাদের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হবে না।”

সালাউদ্দিনের কমিটিতে সদস্য পদে থাকা আসলাম আশাবাদী সমন্বয় পরিষদের প্যানেল নিয়ে। তৃণমূল পর্যায়ের পরীক্ষিতদের ১৩৯ জন কাউন্সিলর বেছে নেবেন বলে বিশ্বাস তার।

“এই প্যানেলে জেলা-বিভাগ-ক্লাবের লোকেরা রয়েছে, যারা পরীক্ষিত সৈনিক। ফুটবলের উন্নয়নে আগে তারা পাস করেছে। আমি তাদের প্রতিনিধিত্ব করছি। কাউন্সিলরদের প্রতি আমার আহ্বান, এই পরীক্ষিতদের বেছে নিবেন আপনারা।”

২০০৫ সালে সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা বাংলাদেশ গত চার আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। বর্তমানে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দলের অবস্থান ১৮৭। সমন্বয় পরিষদের ইশতেহারে সাফের মুকুট পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ, এসএ গেমস এবং এশিয়ান গেমসের জন্য আগামী চার বছরের মধ্যে শক্তিশালী দল গঠনের প্রতিশ্রুতিও আছে।

ইশতেহারে ফুটবলের সোনালী অতীত ফেরানোর লক্ষ্যে ১২ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা, থানা-জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নিয়মিত লিগ ও বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজন, সোহরাওয়ার্দী কাপ ও শের-ই বাংলা কাপ আয়োজন, পেশাদার লিগকে ঢেলে সাজানো, আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত, ফিফার অনুদানের সুষ্ঠ ব্যবহার, তৃণমূলের সুগঠকদের জন্য বাফুফের ‘দরজা খুলে দেওয়ার’ প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও আছে জেলার লিগ চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে শেখ রাসেল জাতীয় ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ, আট বিভাগ নিয়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ, জিমনেশিয়ান তৈরি, আট বিভাগে স্টেডিয়াম, টার্ফ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ ও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপ ‘মানসম্মত দল’ নিয়ে আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।