‘ইউভেন্তুস, সিটিকে বিদায় করেছি, বায়ার্নকেও হারাতে পারি’

ফেভারিটের তকমা নিয়ে আসা ইউভেন্তুস, ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে অলিম্পিক লিওঁ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের জন্য তাই ‘কোনো সীমা নির্ধারণ’ করছেন না কোচ রুডি গার্সিয়া। সেমি-ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ বাধা টপকানোর ব্যাপারেও দারুণ আত্মবিশ্বাসী লিওঁর কোচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2020, 02:32 PM
Updated : 16 August 2020, 02:32 PM

কোয়ার্টার-ফাইনালে গত শনিবার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতার শেষ চার নিশ্চিত করে লিওঁ। শেষ ষোলোয় তারা অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে বিদায় করেছিল আসরের আরেক ফেভারিট ইউভেন্তুসকে।

এবার গার্সিয়ার দলের সামনে উড়তে থাকা বায়ার্ন, যারা শেষ চারে জায়গা করে নেয় বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত করে। শেষ ষোলোয় দুই লেগ মিলে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা চেলসিকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৭-১ গোলে।

প্রথমবারের মতো ফাইনালে যেতে হলে আগামী বুধবার দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বায়ার্ন বাধা পেরুতে হবে লিওঁকে। কাজটা কঠিন হলেও আত্মবিশ্বাসী গার্সিয়া।

“আমরা জানি, এরপর কাদের বিপক্ষে খেলব। আমরা ইউভেন্তুসকে বিদায় করেছি, যারা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের অন্যতম দাবিদার এবং বিদায় করেছি ম্যানচেস্টার সিটিকে, তারাও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দাবিদার ছিল।”

“সামনের ম্যাচেও একইভাবে বায়ার্ন ফেভারিট থাকবে; তবে খেলোয়াড়রা যা দেখিয়েছে তার ভিত্তিতে যৌক্তিকভাবে আমরা এখন আরেকটি রাউন্ডে যাওয়ার আশা করতে পারি এবং আমরা সেই চেষ্টা করার প্রস্তুতি নিব।”

গত অক্টোবরে লিওঁর কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া গার্সিয়া কখনোই ক্লাব সমর্থকদের মন জয় করতে পারেননি। গত ২৩ মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূল পর্বে খেলা দলটি এবার সাতে থেকে লিগ ওয়ান শেষ করেছে। পরের মৌসুমে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় জায়গা পেতে তাই এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই ফ্রান্সের দ্বিতীয় ধনী ক্লাবটির।

এর আগে একবারই তারা প্রতিযোগিতাটির সেমি-ফাইনালে উঠেছিল। ২০০৯-১০ আসরে শেষ চার থেকে বিদায় নিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে।