নাপোলিকে হারিয়েই শেষ আটে বার্সেলোনা

লা লিগা যে রূপে শেষ করেছিল বার্সেলোনা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যেন শুরু করল ঠিক সেভাবে। একের পর এক আক্রমণে কাঁপিয়ে দিল নাপোলিকে। যথারীতি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন লিওনেল মেসি। ঘরের মাঠে জিতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিল কিকে সেতিয়েনের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2020, 09:02 PM
Updated : 8 August 2020, 09:33 PM

শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বে শনিবার ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ দলটির হয়ে একটি করে গোল করেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেস ও ক্লেঁমো লংলে। নাপোলির হয়ে ব্যবধান কমান লরেন্সো ইনসিনিয়ে। চারটি গোলই হয় প্রথমার্ধে।

নাপোলির মাঠে প্রথম লেগ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। দুই লেগ মিলে ৪-২ অগ্রগামিতায় শেষ আটে জায়গা করে নেওয়া বার্সেলোনা কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলবে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। 

ম্যাচের শেষ দিকে মেসিকে স্রেফ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। দলও সে সময়ে ছিল পুরোপুরি রক্ষণাত্মক। তবুও সুবিধাটা নিতে পারেনি নাপোলি। মেলাতে পারেনি আরও ২ গোলের সমীকরণ। প্রথমার্ধে তিন গোল করা বার্সেলোনা ধরে রাখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে অজেয় যাত্রা।

দ্বিতীয় মিনিটে সুযোগ এসে যায় নাপোলির সামনে। চোট শঙ্কা কাটিয়ে শুরু থেকে খেলা ইনসিনিয়ের ক্রস দুই জনের গায়ে লাগার পর ফাঁকায় পেয়ে যান ড্রিস মের্টেন্স। ঠিক মতো শট নিতে পারেননি তিনি, তবুও হতে পারতো গোল। কিন্তু পোস্টে লেগে ফিরলে হতাশ হতে হয় সফরকারীদের।

নাপোলির আক্রমণের ঝাপটা সামলে ধীরে ধীরে আক্রমণে যায় বার্সেলোনা। দশম মিনিটে এগিয়েও যায় স্বাগতিকরা। ইভান রাকিতিচের কর্নারে চমৎকার হেডে জাল খুঁজে নেন লংলে।  

দুর্দান্ত এক গোলে ২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। সুয়ারেসের ক্রস পাওয়ার সময় তার সামনে ছিলেন নাপোলির দুই খেলোয়াড়, পরে যোগ দেন আরেক জন। ঘেরাও থেকে বল নিয়ে বের হতে গিয়ে পড়ে যান মেসি, তবুও নিয়ন্ত্রণ হারাননি। ততক্ষণে ছুটে আসেন প্রতিপক্ষের আরও কয়েক জন, তবুও কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুজে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি বার্সেলোনা অধিনায়কের।

চলতি আসরে এটি তার তৃতীয় গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় মেসির এটি ৩০ ম্যাচে ২৭তম গোল। প্রতিযোগিতাটিতে তার মোট গোল হলো ১১৫টি। ইউরোপ সেরার মঞ্চে এ নিয়ে ৩৫ দলের বিপক্ষে জালের দেখা পেলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ দলের বিপক্ষে গোল করেছেন রোনালদো।

সাত মিনিট পর আবারও বল জালে পাঠিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু রাকিতিচের ক্রস বুক দিয়ে রিসিভ করার সময় বল তার হাত স্পর্শ করায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেননি রেফারি।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সফল স্পট কিকে ব্যবধান বাড়ান সুয়ারেস। কালিদু কলিবালি মেসিকে ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি।

কিছুক্ষণ পর মের্টেন্সকে রাকিতিচ ফাউল করলে পেনাল্টি পায় নাপোলি। সফল স্পট কিকে ব্যবধান কমান ইনসিনিয়ে। প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে ব্যবধান আরও কমানোর সুযোগ এসেছিল ইতালিয়ান দলটির সামনে। কোনোমতে রক্ষা পায় বার্সেলোনা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্বাগতিকদের চেপে ধরে নাপোলি। ৫২তম মিনিটে সুযোগও এসে যায়। তবে খুব কাছ থেকে গোলরক্ষক বরাবর হেড করে দলকে হতাশ করেন ইনসিনিয়ে।

প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে খেই হারাচ্ছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। এরই মধ্যে ৭০তম মিনিটে বদলি নামার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দারুণ একটি সুযোগ পেয়ে যান নাপোলির ইয়েরভিং লোসানো। কিন্তু হেড লক্ষ্য রাখতে পারেননি তরুণ এই ফরোয়ার্ড।

৮১তম মিনিটে চমৎকার হেডে জাল খুঁজে নেন আর্কিদিউস মিলিক। কিন্তু তিনি অফসাইডে থাকায় গোল দেননি রেফারি। বাকি সময়ে বার্সেলোনাকে প্রবল চাপে রাখে সফরকারীরা। কিন্তু জালের দেখা আর মেলেনি।