লিগে শেষ হয়েছে ৩৪ রাউন্ডের খেলা। বাকি মাত্র ৪ রাউন্ড। গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে এ মুহূর্তে সবচেয়ে এগিয়ে লেস্টার সিটির জেমি ভার্ডি। তার পেছনে আর্সেনালের পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। সাউথ্যাম্পটনের ড্যানি ইঙ্গস এবং শিরোপাজয়ী লিভারপুলের ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহরও আছে সোনার জুতো জয়ের সম্ভাবনা।
জেমি ভার্ডি (লেস্টার সিটি, ২২ গোল)
করোনাভাইরাসের ছোবলে স্থগিত থাকা লিগ পুনরায় শুরুর পর প্রথম চার ম্যাচ গোল পাননি ভার্ডি। তবে ২২ গোল নিয়ে এ মুহূর্তে তালিকার সবার ওপরে আছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডই। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে জোড়া গোল করে লিগে ১০০ গোলের মাইলফলক পেরুনোর পর আর্সেনালের বিপক্ষেও পেয়েছেন জালের দেখা।
২৯তম খেলোয়াড় হিসেবে লিগে গোলের সেঞ্চুরি পূরণ করা ভার্ডি গোল্ডেন বুট জিতলে তা তার ক্যারিয়ারের জন্য হবে দারুণ অর্জন। নন-লিগ থেকে উঠে আসা এই ফরোয়ার্ড ২০১২ সালে যোগ দেন লেস্টারে। ২০১৫-১৬ মৌসুমে দলটির লিগ শিরোপা জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। সেই থেকে পাদপদ্রীপের আলোয় ভালোভাবেই আছেন ভার্ডি।
পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং (আর্সেনাল, ২০ গোল)
আগামী রোববার টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে এবং এরপর লিভারপুলের বিপক্ষে খেলবে আর্সেনাল। অবামেয়াংয়ের সামনেও সুযোগ আছে গোল করে ভার্ডিকে আরও চাপে রাখার।
মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল, ১৯ গোল)
ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওনের বিপক্ষে সর্বশেষ লিগ ম্যাচে জোড়া গোল করে সালাহ গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়ে ফিরেছেন দারুণভাবে। অ্যাসিস্টের সংখ্যায় ভার্ডি (৪টি), অবামেয়াংয় (২টি) ও ইঙ্গসের (২টি) চেয়ে ঢের এগিয়ে সালাহ (৮টি)।
লিগের বাকি চার রাউন্ডে শনিবার বার্নলি এবং এরপর আর্সেনাল, চেলসি ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলবে লিভারপুল। দলীয় অর্জনের সঙ্গে ব্যক্তিগত প্রাপ্তিও মিলিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে সালাহর সামনে।
ড্যানি ইঙ্গস (সাউথ্যাম্পটন, ১৯ গোল)
লিগের গত পাঁচ ম্যাচে চার গোল করা ড্যানির সম্ভাবনা আছে আন্তর্জাতিক ফুটবল পুনরায় শুরু হলে ইংল্যান্ডে দলে ডাক পাওয়ারও। আরেকটি প্রাপ্তির হাতছানিও আছে তার সামনে। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে সান্ডারল্যান্ডের কেভিন ফিলিপসের পর লিগের ‘বড় ছয়’ দলের বাইরের কোনো দলের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বুট জয়ের।