ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ৪-০ গোলে জিতেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। কেভিন ডে-ব্রুইনে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাহিম স্টার্লিং। প্রথমার্ধের শেষ দিকে জালের দেখা পান ফিল ফোডেন। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।
ম্যাচের আগে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন সিটি। আর মাঠে দেয় শিরোপা হারিয়ে তারা কতটা তেতে আছে, এর প্রমাণ।
শুরু থেকে ব্যস্ত সময় কাটে দুই গোলরক্ষকের। ডিফেন্ডারদের ওপর দিয়ে যেন বয়ে যায় ঝড়। ২০তম মিনিটে সালাহর শট ফেরে পোস্টে লেগে। একটুর জন্য ফিরতি বলের নাগাল পাননি সাদিও মানে।
২৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সিটিকে এগিয়ে নেন ডে-ব্রুইনে। স্টার্লিংকে জোসেফ গোমেস ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল স্বাগতিকরা।
৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্টার্লিং। গাব্রিয়েল জেসুসের কাছ থেকে পাস পেয়ে ফোডেন বল বাড়ান এই মিডফিল্ডারকে। বল রিসিভ করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ প্রায় হারাতে বসেছিলেন, কোনোমতে সামলে নিয়ে খুঁজে নেন জাল।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে স্কোর লাইন ৩-০ করেন ফোডেন। ডে-ব্রুইনেকে বল বাড়িয়ে মার্কারকে এড়িয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে। বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে আলিসনকে এড়িয়ে খুঁজে নেন জাল।
প্রথমার্ধ যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই যেন দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে সিটি। ৫১তম মিনিটে স্টার্লিংয়ের শট একজনের গায়ে লেগে একটুর জন্য জালে যায়নি। পরের মিনিটে ফোডেনের শট গোললাইন থেকে ফেরান ভার্জিল ফন ডাইক।
স্বাগতিকদের জয়ের ব্যবধান হতে পারতো আরও বড়। ৮২তম মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের শট বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। পরের মিনিটে বিপজ্জনক জায়গা থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ডে-ব্রুইনে।
যোগ করা সময়ে বল জালে পাঠিয়েছিলেন মাহরেজ। তবে আক্রমণের শুরুতে সিটির একজনের হ্যান্ডবল হওয়ায় ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গোল বাতিল করেন রেফারি।
৩২ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে সিটি। ১৯৩৭ সালের পর ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে টানা তিন জয় পাওয়া দলটি ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দুই নম্বরে।