ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে ৫-০ গোলে জিতেছে গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন সিটি। ফিল ফোডেনের নৈপুণ্যে এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধের শেষ দিকে অল্প সময়ের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন মাহরেজ। বিরতির পর দাভিদ সিলভা স্কোরশিটে নাম লেখানোর পর দ্বিতীয় গোলের দেখা পান ফোডেন।
৩০ ম্যাচে ২০ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দুইয়ে আছে সিটি। প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়া লিভারপুলের পয়েন্ট ৮৩।
ম্যাচের অধিকাংশ সময় বল দখলে রাখার পাশাপাশি আক্রমণে আধিপত্য করা সিটি ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায়। ছোট করে নেওয়া কর্নারে বল পেয়ে বের্নার্দো সিলভা লম্বা পাস দেন ফোডেনকে। প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২০ বছর বয়সী তরুণ মিডফিল্ডার।
৪৩তম মিনিটে দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাহরেজ। নিজেদের সীমানা থেকে ফের্নান্দিনিয়োর উঁচু লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আলজেরিয়ান মিডফিল্ডার।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে মাহরেজের সফল স্পট কিকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সিটি। ডি-বক্সে সের্হিও আগুয়েরো ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আসরে মাহরেজের গোল হলো ৯টি।
পেনাল্টি পাওয়ার ঘটনায় বড় একটা ধাক্কাও খায় সিটি। পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন আসরে এখন পর্যন্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬ গোল করা আগুয়েরো।
আর ৬৩তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ফোডেন। দাভিদ সিলভার পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে শট নিয়ে পেছনে ঠেলে দেন জেসুস। প্রথম ছোঁয়ায় বাঁ পায়ের বাকি কাজ সারেন ফোডেন।
পুরো ম্যাচে একচেটিয়া আধিপত্য করা সিটি লক্ষ্যে মোট সাতটি শট নেয়, যার পাঁচটিতেই গোল। অন্যদিকে, লক্ষ্যে একটিও শট নিতে পারেনি বার্নলি। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ স্থানে আছে তারা।