বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটির রোববারের অনলাইন সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বিভিন্ন একাডেমি ও তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলের উন্নয়ন নিয়েও। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে চলা একাডেমিগুলোকে বাফুফের সঙ্গে যুক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আওয়াল।
“আমরা চিহ্নিত করেছি, দেশে ছেলেদের ১২০টা ফুটবল একাডেমি আছে। যেগুলো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চলমান রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব এই ১২০টা বা তারও বেশি হতে পারে, সেগুলোকে বাফুফের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে তিনটি গ্রেডে (১ স্টার, ২ স্টার ও ৩ স্টার) যুক্ত করার জন্য।”
তৃণমূল ফুটবলের উন্নয়নের জন্য ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসেবে দেশের চারটি অঞ্চলে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ শুরুর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এএফসি ‘এ’ কোচিং কনভেনশনের আওতায় দেশের সকল কোচের সার্টিফিকেট নবায়নের সিদ্ধান্তও নিয়েছে কমিটি।
‘টেকনিক্যাল ও স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর’-এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিন বছর থেকেও উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো সাফল্য নেই স্মলির। কোচদের ট্রেনিং এবং মেয়ে ফুটবলের বয়সভিত্তিক পর্যায়ের সাফল্যই যা একটু বলার মতো। ছেলেদের জাতীয় ফুটবল দল বা মহিলা জাতীয় দল করে দেখাতে পারেনি তেমন কিছু।
স্মলির নিয়োগের ব্যাপারটি চূড়ান্ত করার জন্য বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটিতে প্রস্তাবটি পাঠাবে টেকনিক্যাল কমিটি। বাফুফের পাঠানো বার্তায় তাবিথ স্মলিকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
“ফিফার আওতায় থাকার জন্য টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের পদটা অত্যন্ত জরুরি। ফান্ড পাওয়ার জন্য, কোনো প্রস্তাবনা ডেভেলপ করার জন্য জরুরি।”
“মেয়েদের ফুটবলের উন্নয়নটাও আমাদের জন্য বড় অর্জন। যার মাধ্যমে আমাদের নারীরা উৎসাহ পেয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে অনেক দেশেও কিন্তু বাংলাদেশের পতাকা উড়েছিল মেয়েদের মাধ্যমে।”
“এর বাইরে, আমরা চার বছর আগে যখন দায়িত্ব নিই, তখন আমাদের ৭০ জনের নিচে সার্টিফিকেটধারী কোচ ছিল, এখন কিন্তু চারশ’রও বেশি। এরমধ্যে অনেক টেকনিক্যাল কোচও বেরিয়ে এসেছে। এখানে কিন্তু স্মলির অবদান আছে।”