২০১৮ সালের শেষ দিকে কিংসে যোগ দেওয়া কলিনদ্রেসকে ধরে রাখতে চেয়েছিল লিগ চ্যাম্পিয়ন কিংস। কিন্তু করোনাভাইরাসের ছোবলে লিগ বাতিল হয়ে যাওয়া আর এএফসি কাপ স্থগিত হয়ে থাকায় দলটি চেয়েছিল স্বল্পমেয়াদী চুক্তি। কলিনদ্রেসের চাওয়া ছিল এক বছরের চুক্তি এবং আরও বেশি পারিশ্রমিক। কিংস রাজি হয়নি।
বিদায়বেলার চুক্তি না হওয়া নিয়ে কোনো কথা বলেননি কলিনদ্রেস। এদেশের ফুটবল নিয়ে স্মৃতি, ভাবনা এবং কিংসের আঙিনায় ফিরে আসার কথাই বলেছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
“সতীর্থদের নিয়ে বসুন্ধরা কিংসে আমরা দারুণ একটা বছর কাটিয়েছি। এদেশের ফুটবল নিয়ে কিংসের ভালো একটা দৃষ্টিভঙ্গি আছে, সেটার বাস্তবায়নে আমি সাহায্য করতে পেরে ভাগ্যবান। দারুণ একটা জার্নি ছিল। খুবই ভালো মনের মানুষের সঙ্গে মিশতে পেরেছি। সেরাটা দেওয়া চেষ্টা করেছি। অনেক ভালো স্মৃতি আছে।”
“এই জার্নি উপভোগ করেছি। অনেক ভালো কিছু পেয়েছি। আমরা এএফসি কাপে কোয়ালিফাই করেছি। জনি (মাশুক মিয়া), মতিন (মিয়া), ইমন (বাবু), তপুর (বর্মন) খেলায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। ঢাকায় ট্রেনে ভ্রমণ করা আমার সেরা স্মৃতি।”
লিগের বর্তমান দলগুলোর মধ্যে কিংসের অবকাঠামোগত সুবিধা অন্যদের তুলনায় ঢের ভালো। তা নিয়েও কথা বললেন গত মৌসুমে লিগে ১১ গোল করা এই ফরোয়ার্ড। জানালেন কিংসের সতীর্থ, যারা তাকে মুগ্ধ করেছে তাদের কথাও।
“বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আরও উন্নতি করতে হবে। এখানকার ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন আরও দরকার। অনুশীলন, সময়োপযোগী জিমনেশিয়াম, রেফারিং, পেশাদারিত্ব-এগুলোর উন্নতি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
গত মে মাসেই কিংসের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয় কলিনদ্রেসের। তবে লিগ স্থগিত ছিল মার্চ থেকে। ঘরে বসেই সময় কেটেছে বলে জানালেন এই ফরোয়ার্ড। বিদায় নিলেও বাংলাদেশের ফুটবলকে মনে রাখবেন, সুযোগ পেলে কিংসেই ফিরে আসবেন বলে জানালেন তিনি।
“এশিয়াতেই কয়েকটা দলে যাওয়ার প্রস্তাব আছে। কিন্তু আমি এই তথ্যগুলো আপনাদের দিতে পারব না। আমি পেশাদার। সবসময় চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার, উন্নতি করার।”
“বসুন্ধরা খুবই ভালো পেশাদার ক্লাব। তারা আমাদেরকে অনুশীলনে ভালো সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ভালো স্টাফ, ম্যানেজমেন্ট, কিংসের পেশাদার মনোভাব নিয়ে আমার ভালো স্মৃতি থাকবে। চলে গেলেও বাংলাদেশের ফুটবল অনুসরণ করব। আর এখানে এলে শুধু বসুন্ধরাতেই আসব; যদি তারা আমাকে প্রস্তাব দেয়।”