এক ভেন্যুতে এএফসি কাপ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থগিত থাকা এএফসি কাপ-২০২০ মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ভেন্যুর ব্যাপারটিও আছে ঝুলে। তবে এটা নিশ্চিত যে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট তিন দেশের যেকোনো একটিতে বা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে হবে সবগুলো ম্যাচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2020, 11:39 AM
Updated : 5 June 2020, 11:53 AM

‘এফ’ গ্রুপের চার দলের মধ্যে দুটি দল মালদ্বীপের; একটি ভারতের ও একটি বাংলাদেশের (বসুন্ধরা কিংস)। ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এএফসির শুক্রবারের অনলাইন মিটিংয়ে ছিলেন এই তিন দেশের প্রতিনিধিরাও।

বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের প্রতিনিধিরা মোটামুটি তিন দেশের নির্দিষ্ট একটি ভেন্যু বা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।

“দক্ষিণ এশিয়ার যে তিনটি দেশ, তারা সবাই মোটামুটি একসাথে স্বীকার করেছে এএফসি কাপের যে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচের অরিজিনাল ফরম্যাট, সেগুলো সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে সম্ভব নয়। এএফসির প্রস্তাবনা অনুযায়ী, সবাই মোটামুটি মেনে নিয়েছে একটা সেন্ট্রাইলাইজ ভেন্যুতে ম্যাচগুলো আয়োজন করার বিষয়টি। সেখানে বাকি ম্যাচগুলো হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে আয়োজনের ব্যাপারে সবাই মোটামুটি ইতিবাচক মতামত দিয়েছে। তাহলে ম্যাচগুলো কমবে না।”

“এএফসি হয়ত এই ম্যাচগুলো আয়োজনের ব্যাপারে সবাইকে একটা সুযোগ দিবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আমরা বসুন্ধরা কিংসের মতামত অনুযায়ী তাদেরকে বলেছি, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে করা যায় কিনা, দেখতে। অবশ্য ভারতে গিয়েও আমাদের দলটি খেলতে চায় না। কেননা, সেখানে আমরা ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা গত দু-এক বছর ফেস করেছি। এছাড়াও আমরা বলেছি কভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনা করে যদি আশিয়ান কোনো দেশ হয়, হতে পারে এএফসি হেডকোয়ার্টার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর…সেখানে ম্যাচগুলো হতে পারে।”

বিষয়গুলো আসলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাবে। তবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সমান সংখ্যক ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে দলগুলো মোটামুটি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলে জানান সোহাগ। দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এএফসির কাছ থেকে এ ব্যাপারে পুর্ণাঙ্গ গাইডলাইন পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বছরের মধ্যেই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এএফসি কাপ শেষ করতে আগ্রহী বলেও জানান সোহাগ। সেক্ষেত্রে প্রতিটি দলকে নতুন করে খেলোয়াড় নিবন্ধন করার সুযোগ এএফসি দিবে বলেও জানান তিনি।

“আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মধ্যে এএফসি কাপের এই গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচগুলো কিভাবে শেষ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষ হলেও পরবর্তী পর্যায়ে আরও অনেক ম্যাচ থাকবে। তো এএফসির চাওয়া হচ্ছে ২০২০ সালের এএফসি কাপ নির্দিষ্ট ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যেই শেষ করা।”

“ক্লাবগুলোর প্রস্তাবনাগুলো মেনে নিয়ে এএফসিও নিশ্চিত করেছে, পুনরায় শুরুর আগে আরেকটি ট্রান্সফার উইন্ডো ওপেন করা হবে। খেলোয়াড় নিবন্ধনের বিষয়গুলো যেন সংশ্লিষ্ট দলগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারে।”

গত মার্চে এরনান বার্কোসের হ্যাটট্রিকে মালদ্বীপের দল টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোলে হারিয়ে এএফসি কাপে শুভসূচনা করেছিল বসুন্ধরা কিংস।