নিজেদের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার দেওয়া বিবৃতিতে ২০১৯-২০ মৌসুমের দুই তৃতীয়াংশের এই হিসাব দিয়েছে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ।
গত মার্চ থেকে স্থগিত হয়ে আছে ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ লিগ। দেশটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে সব ধরনের খেলাধুলা। অবশ্য লিগ ফেরানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
শেষ পর্যন্ত ফুটবল মৌসুম যদি শেষ করা সম্ভবও হয়, তারপরও টিভি স্বত্বের আয়ের দুই কোটি পাউন্ড ব্রডকাস্টারদের ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ইউনাইটেডের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ক্লিফ ব্যাটি।
ক্লাবটির মার্চের শেষ তিন সপ্তাহের তিনটি ম্যাচ পেছানোয় হারিয়েছে আরও ৮০ লাখ পাউন্ড।
করোনাভাইরাসে কারণে দলটির মোট ১১টি ম্যাচ পিছিয়ে গেছে। স্বাভাবিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ যে আরও বড় হবে, সেটা নিশ্চিত।
গত শনিবার দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে মাঠে ফিরেছে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের অন্যতম বুন্ডেসলিগা। জার্মানির শীর্ষ লিগ ফেরায় প্রিমিয়ার লিগ ফেরারও সম্ভাবনা দেখছেন ব্যাটি। তবে শঙ্কা তো রয়েই যাচ্ছে।
সঙ্গে আছে এফএ কাপ ও ইউরোপা লিগ-শেষ পর্যন্ত এগুলো যদি ভেস্তে যায়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ হবে আকাশছোঁয়া। কারণ হিসেবে ব্যাটি উল্লেখ করেছেন টিভি স্বত্বের চুক্তির বিষয়টি। সবকিছু বন্ধ থাকায় ক্লাব শপের খুচরা আয়ের ওপর প্রভাব পড়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
আবার ফুটবল মৌসুম শেষ করা সম্ভব হলেও তা যে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আর সেক্ষেত্রে ম্যাচ ডে আয়ের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন ব্যাটি।