কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্থগিত হয়ে থাকা মৌসুম পুনরায় শুরুর জন্য চলছে জোর প্রস্তুতি। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ ফুটবল লিগ। আগামী ১৬ মে থেকে মাঠে গড়াবে জার্মান বুন্দেসলিগা। অনুশীলন শুরু করেছে স্প্যানিশ লা লিগা ও ইতালিয়ান সেরি আ লিগের ক্লাবগুলো। তবে সব প্রতিযোগিতাই দর্শকশূন্য মাঠে আয়োজনের পরিকল্পনা আছে আপাতত।
বারবাতোভের শঙ্কাটা এখানেই। বুলগেরিয়ার হয়ে রেকর্ড ৪৮ গোল করা সাবেক এই তারকা বেটফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাকৎকারে দর্শক ছাড়া ফুটবলের নানা দিক তুলে ধরেন।
“দর্শকশূন্য মাঠে খেলা যে একই রকম হবে না, এটা সবার জানা। গ্যালারি থাকবে শান্ত এবং মাঠে আপনি খেলোয়াড়দের সব কথা ও কোচদের সঙ্গে তাদের সব কথা শুনতে পাবেন।”
“ফুটবলের চেনা আবহ সেখানে থাকবে না। সব দলের জন্যই যা আলাদা এক অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। কিছু দল হয়তো মানিয়ে নেবে, বাকি দলগুলোকে ভুগতে হতে পারে।”
সাতবার দেশের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া বারবাতোভ ২০০৮ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে তিন কোটি পাউন্ডে ওল্ড ট্রাফোর্ডে নাম লেখান, যা ওই সময়ে ইউনাইটেডের ক্লাব রেকর্ড। জার্মানি ও ফ্রান্সেও শীর্ষ পর্যায়ে খেলা ৩৯ বছর বয়সী সাবেক এই স্ট্রাইকার নিজের ধারণার পক্ষে যুক্তিও দেখান।
“দর্শক না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে। ধরুণ একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চলছে, কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের কাছে অনুশীলন ম্যাচের মতো মনে হতে পারে। ফলে ম্যাচে তার পাররফম্যান্স খারাপ হতে পারে, যা মোটেও ভালো কিছু নয়।”
“আমরা সবাই জানি, অনেক সময় সমর্থকরাও ম্যাচ জেতাতে পারে।”