করোনাভাইরাস: পিছিয়ে যেতে পারে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এরই মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশে খেলাধুলা স্থগিত হয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়তে পারে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর নির্ধারিত সময়ে শুরু নাও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2020, 10:26 AM
Updated : 30 March 2020, 10:26 AM

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর এ আসর শেষ হওয়ার কথা।

করোনাভাইরাসের জন্য এক রকম থমকে গেছে বিশ্ব। ফুটবল, ক্রিকেট থেকে শুরু করে প্রায় সব খেলা বন্ধ। পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করা সম্ভব হবে না বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন হেলাল।

“করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ বাইরে বেরুতে পারছে না সংক্রমণের ভয়ে। সবকিছুতেই এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপও পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

“এপ্রিলেই আমাদের সাফের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিল। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। আমাদের দেশেও ‘লকডাউন’ চলছে। এটা উঠে গেলেও যে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে, তা মনে হচ্ছে না। বাইরের দলগুলো বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপত্তার দিকটি দেখবে। এ পরিস্থিতিতে সেটা দেখাও অস্বাভাবিক নয়।”

“এরই মধ্যে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচগুলো স্থগিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেগুলো শুরু হবে। সাফের দেশগুলোর লিগও হয়ত শুরু হবে। এগুলোও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।”

“যদিও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হতে অনেক দেরি আছে। পরিস্থিতি ভালো হলে সব পক্ষের সঙ্গে বসতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে নির্ধারিত সময়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হবে কিনা। তবে বর্তমান যে পরিস্থিতি, এটা যদি আরও কিছুদিন চলতে থাকে, তাহলে প্রতিযোগিতাটি পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।”

গত ১২টি আসরের তিনটির আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে প্রতিযোগিতাটি প্রথম আয়োজন করে একমাত্র শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিল তারা।

২০০৯ সালের প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ সেমি-ফাইনালে খেলা বাংলাদেশের পরের চার আসর কেটেছে চরম হতাশায়। চারবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার বিষাদ সঙ্গী হয় দলের।