এরনেস্তো ভালভেরদেরকে সরিয়ে দেওয়ার পর চাভিকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বার্সেলোনা। রাজি হননি সাবেক এই মিডফিল্ডার। পরে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা দায়িত্ব দেয় কিকে সেতিয়েনকে।
সম্প্রতি স্প্যানিশ একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভাবনায় পরিবর্তন আসার কথা জানান চাভি।
“আমি পরিষ্কার যে, আমি বার্সেলোনায় ফিরতে চাই, আমি খুবই রোমাঞ্চিত।
প্রস্তাবটি তার জন্য ‘একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে’ বলে গত জানুয়ারিতে মন্তব্য করেছিলেন চাভি। তবে কোচ হিসেবে দল নিয়ে নিজের ভাবনার কথা সেসময় বার্সেলোনাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন ক্লাবটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৮৫৫) খেলা সাবেক এই তারকা।
“আমি তাদের কাছে এটা পরিষ্কার করেছিলাম, আমি নিজেকে একটা প্রকল্পের মধ্যে দেখি, যার শুরু হবে শূন্য থেকে; এবং যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারটি হবে আমার।”
কার্লোস পুয়োলের মত সাবেক সতীর্থরাও ফিরলে তার জন্য কাজ করা সহজ হবে বলে জানান ৪০ বছর বয়সী চাভি। বর্তমান দল নিয়ে নিজের ভাবনার কথাও জানান বার্সেলোনায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে আটটি লা লিগা ও চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ ২৫টি ট্রফি জেতা এই মিডফিল্ডার।
“গোলরক্ষক দিয়ে শুরু করি, আমি মনে করি সে (মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন) বর্তমানে বিশ্বসেরা। জর্দি আলবা আমার কাছে বিশ্বসেরা লেফট-ব্যাক; (জেরার্দ) পিকে বিশ্বের সেরা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার; (সের্হিও) বুসকেতস বিশ্বসেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার; আর লিওনেল মেসি বিশ্বের সেরা ফুটবলার।”
“যদি, (ফ্রেংকি) ডি ইয়ং ও আর্থারের কথা বলেন, তারা আমার কাছে এমন ফুটবলার যারা বার্সেলোনায় ১০ বছর সফলতার সাথে খেলতে পারে। ভিত্তিটা খুবই ভালো।”
“আমি নেইমারের মতো উইঙ্গার আনতে চাই। ফুটবলের বাইরের কথা বিবেচনা করলে সে কতটা যোগ্য জানি না, তবে ফুটবলের বিচারে, আমার কোনো সন্দেহ নেই যে এটা হবে একটা আকর্ষণীয় দলবদল।”
২০১৫ সালে বার্সেলোনা থেকে বিদায় নিয়ে খেলোয়াড় হিসেবে আল-সাদে যোগ দেন চাভি। গত জুলাইয়ে পান দলটির কোচের দায়িত্ব। এবার নিতে চান নতুন চ্যালেঞ্জ, নিজের বাড়ি বার্সেলোনায়।