লিভারপুলকে বিদায় করে শেষ আটে আতলেতিকো মাদ্রিদ

ইয়ান ওবলাক যেন ছিলেন চীনের প্রাচীর হয়ে। গোলকিপারের দৃঢ়তায়ই ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিতে পারে আতলেতিকো মাদ্রিদ। তবুও দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল লিভারপুল। দারুণ দুটি ফিনিশিংয়ে সমতা ফেরান মার্কোস লরেন্তে। পরে দলকে এগিয়ে নেন আলভারো মোরাতা। দিয়েগো সিমেওনের দল পৌঁছায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2020, 10:38 PM
Updated : 11 March 2020, 11:07 PM

ফিরতি লেগের রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৩-২ গোলে জিতেছে আতলেতিকো। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জেতা স্প্যানিশ দলটি ৪-২ গোলের অগ্রগামিতায় গেছে পরের ধাপে। শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিল গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

ঘরের মাঠে ৪৩ ম্যাচ পর এটাই লিভারপুলের প্রথম হার।

অ্যানফিল্ডে প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত আতলেতিকো। দিয়েগো কস্তার শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।

ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় লিভারপুল। চতুর্দশ মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগটি পায় স্বাগতিকরা। অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইনের শট ফিরিয়ে দেন ওবলাক। ৩৪তম মিনিটে আবার ঠেকিয়ে দেন সাদিও মানের শট।

৩৬তম মিনিটে প্রায় এগিয়ে যাচ্ছিল লিভারপুল। খুব কাছ থেকে রবের্তো ফিরমিনোর শট ফিরিয়ে দেন আতলেতিকো কিপার। ৪৩তম মিনিটে আর পারেননি। অক্সলেইড-চেম্বারলেইনের ক্রসে অরক্ষিত জর্জিনিয়ো ভেইনালডাম হেড জড়ায় জালে। এগিয়ে যায় লিভারপুল।

৫৪তম মিনিটে চেম্বারলেইনের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান ওবলাক।

৬০তম মিনিটে লিভারপুলের ত্রাতা আদ্রিয়ান। জোয়াও ফেলিক্সের শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান। ফিরতি বলে আনহেল কোররেয়ার শটও ব্যর্থ করে দেন তিনি।

প্রতি আক্রমণ থেকে ৬৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুণ সুযোগ একটুর জন্য হাতছাড়া হয়ে যায় লিভারপুলের। ছয় গজ দূর থেকে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের হেড ফিরে ক্রসবারে লেগে। 

তিনি মিনিট পর আবার দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে অক্সলেইড-চেম্বারলেইনের দূরপাল্লার শট ব্যর্থ করে দেন ওবলাক।

সুযোগ আসে পরেও। ডি বক্স থেকে মানের দুটি বাইসাইকেল কিক থাকেনি লক্ষ্যে। যোগ করা সময়ে ফ্রি কিক থেকে হেডে বল জালে পাঠিয়েছিলেন সাউল নিগেস। তিনি অফসাইডে থাকায় গোল হয়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

৯৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ফিরমিনো। ভেইনালডামের ক্রসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের হেড পোস্টে লেগে ফিরে। ফিরতি বলে খুব কাছ থেকে জাল খুঁজে নেন তিনি। 

তিন মিনিট পরেই ব্যবধান কমায় আতলেতিকো। বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন লিভারপুল কিপার। তার শট থেকে বল ফেলিক্স খুঁজে নেন মার্কোস লরেন্তেকে। কিছুটা এগিয়ে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন এই বদলি খেলোয়াড়।

ম্যাচে যদিও তখনও পিছিয়ে সফরকারীরা। প্রতিপক্ষের মাঠে গোল করায় কার্যত তখন এগিয়ে আতলেতিকো।

তখনও আর এক গোল পেলেই শেষ আটে যেত গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা সময় আবার জালে বল পাঠিয়ে লিভারপুলের কাজটা অনেক কঠিন করে তোলেন লরেন্তে।

আলভারো মোরাতার কাছ থেকে যখন এই মিডফিল্ডার বল পান তখন আশেপাশে কেউ নেই। তিন খেলোয়াড় ছুটে আসেন তাকে ঠেকাতে। তাদের এড়িয়ে বার ঘেঁষে খুঁজে নেন ঠিকানা। ম্যাচে আসে ২-২ সমতা।

ম্যাচের শেষ সময়ে প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন মোরাতা। তিন বছরের মধ্যে অ্যানফিল্ডে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পায় লিভারপুল।

দিনের অন্য্য খেলায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে গেছে পিএসজি। প্রথম লেগে ২-১ গোলে হেরেছিল ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।