এএফসি কাপের ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মালদ্বীপের দল টিসি স্পোর্টসকে ৫-১ গোলে হারায় অস্কার ব্রুজনের দল। চার গোল করেছেন বার্কোস, অন্য গোলটি সোলেরার।
দশম মিনিটের আক্রমণ থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ আসে সোলেরার সামনে। একক প্রচেষ্টায় ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও শট নেননি কোস্টারিকার এই ফরোয়ার্ড; ব্যাক পাস দেন বার্কোসকে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বাইরে যায়।
গ্যালারিতে আসা হাজার চারেক দর্শককে আনন্দে ভাসিয়ে অষ্টাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। বিপলুর জোরালো কোনাকুনি শট গোলরক্ষক ফেরানোর পর পেয়ে যান দুইশবেকভ। কিরগিজস্তানের এই ফরোয়ার্ডের ক্রসে বার্কোস হেডে জাল খুঁজে নেন।
২৩তম মিনিটে বার্কোসের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে সোলেরার নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তিন মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। বিপলুর লবে বার্কোসের হেড ঠিকানা খুঁজে নেয়।
৩৮তম মিনিটে আশফাকের বাঁকানো কর্নার ফিস্ট করে ফেরান জিকো। এরপর টিসি স্পোর্টসের এই ফরোয়ার্ডের শট বাইরের জাল কাঁপায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বিপলুর জোরালো শট সোজা গোলরক্ষক বরাবর যায়। ৫০তম মিনিটে ইসমাইল ইসার স্পট কিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ফেরান জিকো। কিন্তু শটের আগে জিকো লাইন ছেড়ে বেরিয়ে আসায় ফের পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। এ দফাও ইসমাইলের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান এই গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে গোলরক্ষক বিপদমুক্ত করার পর চলে যায় সামনে থাকা বার্কোসের পায়ে। গোলরক্ষকের মাথায় ওপর দিয়ে বল জালে পৌঁছে দেন আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ড। নিশ্চিত হয়ে যায় বসুন্ধরা কিংসের বিশাল জয়।