কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের অনুশীলনে উপস্থিত ছিল ১৪ জন খেলোয়াড়। গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা ও মিডফিল্ডার সোহেল রানাও জানালেন হালকা অনুশীলনে দিন পার করার কথা।
খেলোয়াড়দের ফেডারেশন কাপের ব্যস্ততা শেষ হয়েছে গত রোববার। তবে অন্য দলের খেলোয়াড়দের অনেকে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। বাকিরা যোগ দিলে মূল অনুশীলন শুরু হবে বলে জানালেন রানা।
“জেমি না থাকায় আজকের অনুশীলনে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়রা আজকে আসবে। কোচও আজ এসেছেন। কাল থেকে শুরু হবে আমাদের প্রস্তুতি।”
“আমরা গোলকিপাররা অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনুশীলন করেছি। নরমালি ফিটনেস নিয়ে ট্র্রেনিং হয়েছে। আর বল নিয়ে ১৫-২০ মিনিট কাজ হয়েছে।”
সোহেল জানালেন, “ফেডারেশন কাপের পর আমাদের একটু বিশ্রাম দরকার ছিল। আজ আমাদের তা দেওয়া হয়েছে। কাল থেকে হার্ড ট্রেনিং শুরু হবে।”
‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন ও শ্রীলঙ্কা। ‘বি’ গ্রুপের তিন দল মরিশাস, বুরুন্ডি ও সিশেলস। ফিলিস্তিন, শ্রীলঙ্কা সম্পর্কে ধারণা থাকলেও বাকিদের সম্পর্কে জানাশোনা নেই বলে জানালেন রানা।
“ফিলিস্তিন ও বুরুন্ডি আমার মনে হয় বেশি শক্তিশালী। শ্রীলঙ্কাকে আমরা জানি। বাকি দলগুলো সম্পর্কে আমার খুব বেশি আইডিয়া নাই। আমি যতদূর জানি, তারা আমাদের সমসাময়িক র্যাঙ্কিংয়ের। আমাদের শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের গোলরক্ষক কোচের বাড়ি কেনিয়া, আমি তার কাছ থেকে জেনেছি ওরা নাকি ফিজিক্যালি শক্তিশালী।”
“মরিশাস ও সিশেলস সম্পর্কে আমাদের ধারণা নাই। মরিশাস ও বুরুন্ডির নাম শুনেছি কিন্তু আরেকটা দলের সম্পর্কে (সিশেলস) আমাদের কোনো আইডিয়া নাই।”
আগামী ১৫ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রতিযোগিতাটির ষষ্ঠ আসর। উদ্বোধনী ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।