ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে ৪-১ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। জোড়া গোল করেছেন অঁতনি মার্সিয়াল, একটি করে মার্কাস র্যাশফোর্ড ও ম্যাসন গ্রিনউড।
ঘরের মাঠে শুরুতে কিছুটা এলোমেলো ছিল ইউনাইটেড। এই ম্যাচের আগে পয়েন্টের দিক থেকে সমতায় থাকা দুটি দলের লড়াইয়ে আলো ছড়াচ্ছিল নিউক্যাসল। প্রথম পরিষ্কার সুযোগটি পায় তারাই। ষোড়শ মিনিটে কিপারকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি স্ট্রাইকার ডোয়াইট গেইল।
পরের মিনিটে ম্যাথু লংস্টাফ এগিয়ে নেন সফরকারীদের। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়েলিংটনের কাছ থেকে বল পেয়ে বাকিটা সারেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
আসরে এনিয়ে ১৪ ম্যাচে জাল অক্ষত রাখতে ব্যর্থ হলো প্রিমিয়ার লিগের সফলতম দলটি। পিছিয়ে পড়ার পর যেন নিজেদের ফিরে পায় ইউনাইটেড।
২৪তম মিনিটে সমতা আনেন মার্সিয়াল। আন্দ্রেয়াস পেরেইরার কাছ থেকে বল পেয়ে জাল খুঁজে নেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
চার মিনিট পর বিপজ্জনক জায়গা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি র্যাশফোর্ড।
৩৫তম মিনিটে ফাবিয়ান শারের উপহার দারুণভাবে কাজে লাগান গ্রিনউড। নিউক্যাসল ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন। স্লাইড করা ফেদরিকো ফের্নান্দেসের পায়ে লেগে একটু দিক না পাল্টালে হয়তো বাঁচাতে পারতেন নিউক্যাসল কিপার।
ছয় মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান র্যাশফোর্ড। ডিফেন্ডার অ্যারন ওয়ান-বিসাকার ক্রসে এই স্ট্রাইকারের নিখুঁত হেড খুঁজে নেয় ঠিকানা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যেন আবার উপহার দেয় নিউক্যাসল। ৫১তম মিনিটে শন লংস্টাফের দুর্বল ব্যাকপাস ধরে স্কোর লাইন ৪-১ করে ফেলেন মার্সিয়াল।
২০১৩ সালের পর থেকে লিগে হ্যাটট্রিক নেই ইউনাইটেডের কোনো খেলোয়াড়ের। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান প্রায় ঘটিয়ে ফেলেছিলেন মার্সিয়াল। ৬০তম মিনিটে তার শট ব্যর্থ হয় পোস্টে লেগে। এর কিছুক্ষণ পর তাকে তুলে নেন কোচ।
পরে ব্যবধান বাড়ানোর কয়েকটি সুযোগ এলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেননি সুলশারের শিষ্যরা। এই জয়ে ১৯ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে রয়েছে ইউনাইটেড। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে রয়েছে নিউক্যাসল।
দিনের অন্য ম্যাচে বোর্নমাউথের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্সেনাল। সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হেরেছে চেলসি।