বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ৫-১ গোলে জিতেছে আবাহনী।
এই হারে টানা দুই হারে আসর থেকে বিদায় নিল আরামবাগ।
প্রথমার্ধে সানডে চিজোবার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে চারবার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ায় গত তিন আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
নবম মিনিটে সতীর্থের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সানডে। ষোড়শ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে দারুণ একটা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি আরামবাগ।
২২তম মিনিটে সানডের আড়াআড়ি পাসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন জুয়েল রানা। প্রথমার্ধে আরও বেশ কিছু পরিকল্পিত আক্রমণ করেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আবাহনী।
আবাহনীকে স্বস্তি দিয়ে ৫১তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান অধিনায়ক নাবীব নেওয়াজ জীবন। চার মিনিট পর লম্বা থ্রো ইন থেকে বল পেয়ে ছোট ডি-বক্সের ভেতর থেকে নিঁচু হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন নাসিরউদ্দিন।
ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় বল পেয়ে দলের তৃতীয় গোলটি করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। ৭৮তম মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে ব্যবধান আরও বাড়ান ফয়সাল আহমেদ শীতল।
৮৩তম মিনিটে আরামবাগের একমাত্র গোলটি করেন মুরাদ হোসেন চৌধুরি।
গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪-০ গোলে বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে হারিয়েছিল আবাহনী। আরামবাগ প্রথম ম্যাচে পুলিশ এফসির কাছে হেরেছিল ৩-১ গোলে।
দুই ম্যাচে দুই জয়ে আবাহনীর পয়েন্ট ৬। একটি করে জয় ও হারে ৩ পয়েন্ট গ্রুপ রানার্সআপ পুলিশ এসসির। দুই ম্যাচেই হেরে আরামবাগের পয়েন্ট শূন্য।