রোমানের অলিম্পিক ভাবনা

সোনার পদক জিতে কারও চোখ বেয়ে পড়ল আনন্দাশ্রু। কেউ প্রকাশ করলেন উচ্ছ্বাস। বাংলাদেশের তারকা আর্চার রোমান সানা জানালেন ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে দেশকে ভালো কিছু এনে দেওয়ার প্রত্যয়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকপোখারা থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2019, 11:19 AM
Updated : 9 Dec 2019, 03:10 PM

পোখারা স্টেডিয়ামে সোমবার রিকার্ভ এককে ৭-১ সেট পয়েন্ট প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে সোনা জিতেন রোমান। দলীয় ও ব্যক্তিগত ইভেন্ট মিলিয়ে তিনটি সোনা জিতে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের এবারের আসর শেষ করলেন তিনি।

গত জুনে ওয়ার্ল্ড আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপসে ব্রোঞ্জ জিতে বাংলাদেশকে টোকিও অলিম্পিকের আর্চারি ইভেন্টে খেলার টিকেট এনে দেওয়া রোমান পোখারার সাফল্য উচ্ছ্বসিত।

“এটা (তিনটি সোনা) অত্যন্ত আনন্দের কিন্তু ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না, কতটা খুশি লাগছে। সবাই আমাকে সমর্থন দিবেন। অলিম্পিকে দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে চাই।”

“বর্তমান লক্ষ্য অলিম্পিক ঘিরে। সামনে আরও কিছু গেমস আছে। আগে যতটা পরিশ্রম করতাম, এখন আরও বেশি পরিশ্রম করব। অলিম্পিক অনেক বড় আসর। সেখানে নিজেকে মেলে ধরতে হলে নিজেকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে কোনো রেজাল্টই আসবে না।”

“১০ বছরের ক্যারিয়ারে এটাই আমার সেরা সাফল্য। কোয়ালিফিকেশনে যে স্কোর করেছি (৬৮৬), এই স্কোর অলিম্পিকে করলে আমি টপ ফাইভে থাকতে পারব। আমার পদকের লক্ষ্য নেই; লক্ষ্য ভালো খেলার। সেটা করতে পারলে অলিম্পিকে কোয়ার্টার-ফাইনালে যেতে পারি।”

আর্চারির ১০ ইভেন্টের সবগুলোতে সোনা জিতেছে বাংলাদেশ। রোমান জানালেন, এতটা প্রত্যাশা তাদের ছিল না।

“সবাই মিলে পদক জেতা অবশ্যই আনন্দের। কারণ আমরা এতটা প্রত্যাশা করিনি-দশটার দশটাই জিতব। আমাদের আশা ছিল ছয়-সাতটা জিতব। কিন্তু তার থেকে বেশি পাওয়া প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু।”

দলীয় ও ব্যক্তিগত ইভেন্ট মিলিয়ে তিনটি সোনা জিতেছেন ইতি খাতুন। হ্যাটট্রিক পূরণের পর কাঁদলেন খুশিতে। জানালেন অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন দেখার কথা।

“আমি চেয়েছিলাম এককে সোনা জিতেই সবার সাথে কথা বলব। দলগতর চেয়ে আমার কাছে এককের সফলতাটাই বড়। আমার এখনো গা কাঁপছে। আবেগে কেঁদে ফেলেছি।”

“আমার পরের লক্ষ্য এশিয়ার মধ্যে ভালো একটা রেজাল্ট করা। আর অলিম্পিকে খেলার স্বপ্নও বুকে লালন করে রেখেছি। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছে।”

খো খো, ক্রিকেট ছেড়ে আর্চারিতে আসা সুমা বিশ্বাসও চমক উপহার দিয়েছেন। স্ট্যান্ডবাই তালিকায় ছিলেন। কম্পাউন্ডের এককে বাজিমাত করে আবেগের অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি তিনিও।

“যেখানে আমার খেলা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা, সেখানে আমিই সোনা জিতলাম। কখনোই ভাবিনি ফাইনাল খেলব ও সোনা জিতব। এটা আমার কাছে স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু মনে হচ্ছে।”