এসএ গেমসের ফুটবলে সেরা হওয়াই একমাত্র লক্ষ্য বাংলাদেশের

পাঁচ দিনের মধ্যে ৪টি ম্যাচ। ক্লান্তি ঝেড়ে সতেজ হয়ে পরের ম্যাচে নামা একটু কঠিনই জীবন-রবিউলদের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর পরিষ্কার কথা- দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে ছেলেদের ফুটবলে সেরা না হয়ে দেশে ফেরাটা দলের জন্য ব্যর্থতা বলেই গণ্য হবে।

ক্রীড়া প্রতিবেদককাঠমাণ্ডু থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2019, 10:10 AM
Updated : 30 Nov 2019, 10:33 AM

নেপালের কাঠমাণ্ডু-পোখারায় আগামী রোববার শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর এসএ গেমস। পরের দিন মাঠে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফুটবলের লড়াই শুরু বাংলাদেশের।

ভারত সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন শেষ মুহূর্তে সত্যি হওয়ায় ফুটবলের সূচিতে এসেছে পরিবর্তন। গ্রুপ পর্ব বাদ হয়েছে। বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা-এই পাঁচ দল নিয়ে খেলা হবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। বাস্তবতা বলছে, স্বাগতিক নেপালই বাংলাদেশের মূল প্রতিপক্ষ।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নেপালের উচ্চতা, ডিসেম্বরের ঠাণ্ডা-এই সব বিরূপ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াও আরেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। তবে সব বাধা পেরিয়ে ২০১০ সালের পর এই ইভেন্টে সোনালি হাসি হাসার অপেক্ষায় দল। জাতীয় দলের সাবেক ডিফেন্ডার ও বর্তমান দলের টিম ম্যানেজার রুপু তাই প্রাপ্তির শিখরে পৌঁছানোর বার্তা উত্তরসূরিদের কানে তুলে দিচ্ছেন।

“দেশে প্রস্তুতি নেওয়ার যে কথা ছিল, সেটা হয়নি বলে এখানে তার কোনো প্রভাব পড়বে না। সবাই ক্লাবে খেলার মধ্যে ছিল। (এখানে জিমনেশিয়ান, সুইমিংপুল) এগুলো না পাওয়া কোনো সমস্যা নয়।”

“পাঁচ দিনের মধ্যে চারটা ম্যাচ খেলতে হবে খেলোয়াড়দেরকে। এর মধ্যে কখন জিমনেশিয়ামে যাবে, কখন সুইমিং পুলে যাবে, কখন রিকোভারি করবে? এগুলো কোনো বিষয় নয়। অজুহাত হতে পারে না। আমাদের খুবই ভালো সুযোগ আছে (সেরা হওয়ার), সেটা যদি না পারি, তাহলে আমরা ব্যর্থ।”

১৯৯৯ সালে ফুটবলে ছেলেরা প্রথম সোনা জয়ের পর ২০১০ সালে দ্বিতীয় ও সর্বশেষবার সেরা হয়েছিল। ২০১৬ পেয়েছিল ব্রোঞ্জ।