৩-১ গোলে জিতেছে উলে গুনার সুলশারের দল। অতিথিদের তিন গোলদাতা স্কট ম্যাকটমিনে, মার্কাস র্যাশফোর্ড ও অঁতনি মার্শিয়াল।
রোববারের এই ম্যাচে ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় নরিচ। ম্যাক্স অ্যারনসের কাছ থেকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পান টড ক্যান্টওয়েল। বাঁকানো শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এই মিডফিল্ডার।
প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে বারবার খেই হারানো ইউনাইটেড এগিয়ে যায় ২০তম মিনিটে। একটি কর্নার নরিচ পুরোপুরি বিপদমুক্ত না করলে বল পান স্কট ম্যাকটমিনে। নিচু শটে বল জালে পাঠান তিনি। প্রিমিয়ার লিগে এটি ইউনাইটেডের দুই হাজারতম গোল।
পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে মার্কাস র্যাশফোর্ডের সামনে। এই ফরোয়ার্ডের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন টিম ক্রুল।
৩০তম মিনিটে আর দলকে বাঁচাতে পারেননি এই গোলরক্ষক। স্বাগতিকদের বাজে ডিফেন্ডিংয়ের সুযোগে ব্যবধান বাড়ায় ইউনাইটেড। ড্যানিয়েল জেমসের কাছ থেকে বল পেয়ে অরক্ষিত র্যাশফোর্ড খুঁজে নেন ঠিকানা।
ক্যান্টওয়েলের হ্যান্ডবলে আবার পেনাল্টি পায় ইউনাইটেড। এবার অঁতনি মার্শিয়ালের শট ঠেকিয়ে দেন ক্রুল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেদের চেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ করে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ইউনাইটেডের ওপর দারুণ চাপ তৈরি করে নরিচ। কখনও দাভিদ দে হেয়া আবার কখনও অতিথিদের রক্ষণের দৃঢ়তায় জালের দেখা পায়নি তারা।
খেলার ধারার বিপরীতে ৭২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ইউনাইটেড। র্যাশফোর্ডের ব্যাকহিলে বল পেয়ে ক্রুলকে পরাস্ত করেন মার্শিয়াল।
প্রতি আক্রমণে ৮৮তম মিনিটে ব্যবধান কমান ওনেল এর্নান্দেস। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে নিচু শটে দে হেয়াকে পরাস্ত করেন এই কিউবার উইঙ্গার।
লেস্টার সিটিকে হারানোর পর থেকে লিগে টানা চার ম্যাচে জয়শূন্য ছিল ইউনাইটেড। এবার জিতে ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে উঠে এসেছে তারা।