ধরাছোঁয়ার বাইরে নয় গোকুলাম: মারুফুল

শেষ মুহূর্তে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ খেলতে এসে উড়ছে গোকুলাম কেরালা এফসি। দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে সেমি-ফাইনালে। প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন মারুফুল হক। তবে গোকুলাম ধরাছোঁয়ার বাইরে নয় বলেও মনে করেন চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকচট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2019, 02:21 PM
Updated : 27 Oct 2019, 02:21 PM

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে আগামী সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রথম সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়ে সেমি-ফাইনালের মঞ্চে উঠেছে চট্টগ্রাম আবাহনী।

নাথানিয়েল গার্সিয়া, হেনরি কিসেকার মতো নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড আছে গোকুলামের আক্রমণভাগে। গ্রুপ পর্বে কিসেকা ৩টি, গার্সিয়া এক গোল করেছেন। মারুফুল জানালেন প্রতিপক্ষের বিদেশিদের নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা থাকার কথাও।

“অবশ্যই ওরা অনেক গোছালো দল। ওদের তিনটা বিভাগেই ভালো মানের খেলোয়াড় আছে। খেলাটা তারা তাদের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তার মানে এই নয় যে, তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের হারানো যাবে না।”

“আমার দলও (চট্টগ্রাম আবাহনী) শুরুর দুই ম্যাচে ভালো করেছে। সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত (অনেকটা) হয়ে যাওয়ায় তৃতীয় ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা অন্যরকম ছিল। যদি পরিকল্পনা আগের মতোই থাকত, তাহলে তৃতীয় ম্যাচে আমরা আরও উন্নতি করতে পারতাম। আমি আশাবাদী, গোকুলামকে হারানো সম্ভব।”

“গার্সিয়া ও কিসেকাকে নিয়ে পরিকল্পনা তো আছেই। আপনাকে প্রতিপক্ষের শক্তির জায়গাটা পড়ে পরিকল্পনা সাজাতে হবে এবং ওদের আক্রমণের লাইন বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।”

“এটা (প্রতিপক্ষের সেট-পিস) নিয়ে অনেক বেশি কাজ করেছি। ওদের সেটপিস ভিন্ন ধরনের হয়। সম্ভাব্য বৈচিত্র কি হতে পারে, এটা নিয়ে কাজ করতে পেরেছি।”

ঘানার হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ খেলা প্রিন্স ট্যাগো এখনও চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলতে নামেননি। তবে ৩ গোল করা নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেডু ম্যাথিউ, ১ গোল করা লুকা রতকোভিচসহ ইকবল জন, প্লেন পিটারদের ওপর আস্থা রাখছেন চট্টগ্রাম আবাহনী কোচ।

“গোকুলামের প্রি সিজন শুরু হয়েছে অনেক আগে। ওদের প্রস্তুতি ভালো হওয়ারই কথা। বিদেশিরা যোগ দিয়েছে। তবে আমার বিদেশিরাও খারাপ নয়। ভালো করছে।”

৯০ মিনিটের মধ্যে ম্যাচের ফল বের করে নেওয়ার লক্ষ্য মারুফুলের। জানালেন দর্শকের উপস্থিতি তাদের জন্য চাপ হবে না।

“ম্যাচ শুরুর আগে এটা যা একটু অনুভব হয়। কিন্তু ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে তখন আর চাপ থাকে না। আমার চিন্তা থাকে যে নির্দেশনা দিয়েছিলাম, ছেলেরা তা বাস্তবায়ন করছে কিনা দেখা। খেলোয়াড়রদের চিন্তা থাকে তারা নির্দেশনা অনুসরণ করছে কিনা, তা নিয়ে।”