বাংলাদেশকে মিস করি: লি টাক

মাত্র একটা মৌসুমই বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে ছিলেন। আবাহনী লিমিটেডের জার্সিতে আলো ছড়িয়েছিলেন দারুণভাবে। প্রিমিয়ার লিগে ১০ গোল করে, সতীর্থদের গোলেও অবদান রেখে ঐতিহ্যবাহী দলটির সমর্থকদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন লি টাক। তার দলও হয়েছিল অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন।

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরচট্টগ্রাম থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2019, 04:36 PM
Updated : 19 Oct 2019, 08:46 AM

২০১৫-১৬ মৌসুম শেষেই আবাহনীকে বিদায় বলে দেওয়া লি টাক এবার চট্টগ্রামে পা রেখেছেন নতুন মিশন নিয়ে। মালয়েশিয়ার দল টেরেঙ্গানু এফসিকে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের শিরোপা জেতানোর লক্ষ্য তার। তবে লক্ষ্যের বাইরেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আলাপচারিতায় ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড মেতে উঠলেন স্মৃতিচারণে, দিলেন সুযোগ পেলে ফিরে আসার বার্তাও।

আবাহনী লিমিটেড ছাড়ার পর মনে হয় এই প্রথম এলেন। এখনও কি এ দেশটাকে, এ দেশের ফুটবলকে মিস করেন?

লি টাক: হ্যাঁ। আমি বাংলাদেশ অনেক মানুষ, ফুটবল, বিশেষ করে ঢাকা আবাহনীকে মিস করি। এখানে ফিরে ভালো লাগছে। নতুন কিছু দেখতে পেরে, বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতি দেখে ভালো লাগছে।

নিশ্চয় জানেন আবাহনী এই টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের শেষ মুহূর্তে সরিয়ে নিয়েছে?

লি: আজই জেনেছি যে আবাহনী খেলছে না। এটা আমার জন্য খুবই দুঃখের ব্যাপার। ক্লাবটির ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড় সবার সঙ্গে আমার খুব ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাদেরকে দেখার জন্য আমি অধীর হয়ে ছিলাম। জানি না তারা কি কারণে এই ‍টুর্নামেন্টে খেলতে আসছে না। কিন্তু তাদের না আসাটা আমার জন্য দুঃখের।

তিন বছর পর ফিরে এসে কোনো পরিবর্তন দেখছেন কি?

লি: এই প্রথম এলাম (চলে যাওয়ার পর)। তিন বছর হয়ে গেছে। অনেক কিছু বদলেছে। আবাহনীকে গত বছর আমি এএফসি কাপে দেখেছি। তাদের ফল বলছে তাদের উন্নতি হয়েছে। এএফসি কাপে আবাহনীর হয়ে আমার খেলার সুযোগ হয়নি। জানিও না আমার সময়ের থেকে এখন ওরা কোন স্টাইলে খেলছে। কিন্তু ফল দেখে বুঝতে পারি তাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। (গত এএফসি কাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল)।

আপনার কি পরিবর্তন হয়েছে?

লি:
অনেক কিছু। বিয়ে করেছি। বাচ্চা হয়েছে। আগের চেয়ে আরও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হয়েছি। এখানে ফিরে এসে বেশ ভালো লাগছে। চেনা মুখ, যাদের সঙ্গে আমি খেলেছি, যাদের হয়ে খেলেছি তাদের দেখতে উন্মুখ হয়ে আছি।

কিন্তু এবার বাংলাদেশের দলগুলোর বিপক্ষে খেলবেন। উৎসাহের বদলে দুয়ো শুনবেন সমর্থকদের কাছ থেকে..

লি: (হাসি)। বাংলাদেশে একটা ট্রফি জিততে আমি অনেক কষ্ট করেছিলাম। আপনারা জানেন, কঠোর পরিশ্রমে ফল মেলে। আমরা ইতিহাস লিখেছিলাম। আবাহনী অপরাজিত লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আমি মনে করি, মাথা উঁচু করে আমি চলে গিয়েছিলাম। মালয়েশিয়ায় চলে যাওয়ার পর আমি আরও ভালো খেলোয়াড় হয়েছি।

কোনো চাপ নেই বরং আরও বেশি শিহরণ আছে। কেননা আমি এখানে এসেছি আমার স্কিল দেখাতে। বাংলাদেশের ফুটবলকে আমি জানি, তাই সাচ্ছ্বন্দ্যবোধ ও আত্মবিশ্বাস অনুভব করছি। আমি শুধু অভিজ্ঞতাটা উপভোগ করতে চাই। শিরোপা জিততে চাই।

মালয়েশিয়ার ফুটবল নিয়ে বলুন

লি: দেশটির ফুটবলের ভিত্তি চমৎকার। প্রতি ম্যাচে আমাদের ১০ থেকে ২০ হাজার সমর্থক মাঠে আসে। টেকনিক্যালি দারুণ ফুটবলার সেখানে আছে। অনুশীলনের জন্য দারুণ সুবিধাও আছে সেখানে।

মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে ফেরার সুযোগ পেলে কি করবেন?

লি: কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। এ মুহূর্তে আমি মালয়েশিয়ার দলটির সঙ্গে ভালো আছি। আমি তাদের অধিনায়ক। তবে বাংলাদেশেও আমার দারুণ অভিজ্ঞতা আছে। হয়ত কোনো একদিন আমি ফিরব।