ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও ভার্জিল ফন ডাইককে হারিয়ে ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট ফিফা মেনস প্লেয়ার’ জিতেন মেসি। মিলানে অপেরা হাউজ লা স্কালায় সোমবার তারকা এই ফরোয়ার্ডের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্তিগত সাফল্যের পুরস্কার জয়ের চেয়ে দলীয় সাফল্যকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার কথাও বলেন ৩২ বছর বয়সী মেসি।
“যারা আমাকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
“আমার কাছে ব্যক্তিগত পুরস্কার পরে এবং দলীয় সাফল্য আগে।”
“তবে এ দিনটি আমার জন্য বিশেষ দিন।”
২০০৯ সালে প্রথম বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মেসি। ফিফার বর্ষসেরা ও ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর ব্যালন ডি’ অর পুরস্কার শুরুতে আলাদাভাবে দেওয়া হতো। সেবছর দুটিই জিতেছিলেন তিনি।
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছয় বছর দুটি পুরস্কার একীভূত হয়ে নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি'অর। পরপর তিন বছর ওই পুরস্কার জিতেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। এর পরের দুই বছর রোনালদো জেতার পর ২০১৫ সালে আবারও পুরস্কারটি জিতে নেন মেসি, জিতেন রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো।
২০১৮-১৯ মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলে মোট ৫৪ গোল করেন মেসি। পাশাপাশি সতীর্থের ২০ গোলে রাখেন অবদান।
জাতীয় দলের হয়ে মৌসুমটা অবশ্য ভালো কাটেনি তার। কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে যায় তার দেশ আর্জেন্টিনা। তবে ক্লাব ফুটবলে বছর জুড়ে দুর্দান্ত খেলেই সেরার পুরস্কারটি জিতে নিলেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।