বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমি-ফাইনালসের প্রথম পর্বে ৪-৩ গোলে জিতেছে আবাহনী।
পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে রক্ষণ জমাট রেখে শুরু থেকে আক্রমণ শানাতে থাকে আবাহনী। তৃতীয় মিনিটে সাদ উদ্দিনের ভলি, পরের মিনিটে কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের প্রচেষ্টা লক্ষ্যে থাকেনি। দশম মিনিটে মামুন মিয়া ডি-বক্সের ভেতর থেকে ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলে হতাশা বাড়ে স্বাগতিকদের।
আবাহনীর এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ টেকে মাত্র দুই মিনিট। ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে নিখুঁত শটে সমতা ফেরান চো জোং হিয়োক।
প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের নকআউট পর্বে ওঠা আবাহনী ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ৩৭তম মিনিটে। রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো এক ডিফেন্ডার ফেরানোর পর পেয়ে যান ওয়ালী ফয়সাল। এই ডিফেন্ডারের থ্রু পাস ধরে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন গত লিগে ১৬ গোল করা জীবন।
দুই মিনিট পরই গ্যালারিতে আসা আবাহনীর সমর্থকেরা ফের এগিয়ে যাওয়ার উৎসবে মাতে। টুটুল হোসেন বাদশার লব ধরে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা আগুয়ান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন।
৬১তম মিনিটের গোলে ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় আবাহনী। বেলফোর্টের বাড়ানো বল ধরে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় স্কোরলাইন ৪-২ করেন গত লিগে ২০ গোল করা সানডে।
৭৬তম মিনিটে পাক সং রকের হেডে ম্যাচে ফেরে উত্তর কোরিয়ার লিগের ১৮বারের চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করার সময়ে প্রতিপক্ষের একটি আক্রমণ পোস্টে লেগে ফিরলে বেঁচে যায় আবাহনী।
আগামী ২৮ অগাস্ট ফিরতি লেগে উত্তর কোরিয়ার মাঠে মুখোমুখি হবে দুই দল।