রিও দে জেনেইরোতে বাংলাদেশ সময় আগামী রোববার রাত ২টায় শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল।
সপ্তাহ দুয়েক আগেও পেরুকে অনেকে গোনায় ধরেননি। কিন্তু দুই তৃতীয় সেরা দলের একটি হয়ে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে আসার পর দলটি আর পিছু ফিরে তাকায়নি। কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে উরুগুয়েকে হারানোর পর সেমি-ফাইনালে গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চিলিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে মারাকানার মঞ্চে উঠে আসে তারা। উন্নতির মধ্যে থাকা দলকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী পেরুর আর্জেন্টাইন কোচ গার্সিয়া।
“যখন আপনি ফাইনালে উঠবেন, আপনাকে জেতার চেষ্টা করতে হবে। এর বাইরে কোনো বিকল্প নেই।”
“আমরা নিজেদের মেধা দিয়ে ফাইনালে উঠেছি। এই দল খুবই শক্তিশালী। আমি মনে করি এটাই চাবিকাঠি। বাঁধাগুলো অতিক্রম করার শক্তি এই দলের আছে।”
গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের কাছে ৫-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল পেরু। কিন্তু গার্সিয়ার মনে হচ্ছে পরিস্থিতি বদলে গেছে। ব্রাজিলকে হারানোর সামর্থ্য আছে তার শিষ্যদের।
“ব্রাজিলকে হারানোর মতো খেলোয়াড় আমাদের আছে। আমরা এ মুহূর্তে সেরা অবস্থায় আছি। যদি আমাকে ফাইনাল খেলার সময় পছন্দ করতে বলা হত, আমি এখনই খেলার কথা বলতাম। কিন্তু আমরা জানি, আমরা যেভাবেই খেলি না কেন ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচটি কঠিন হবে।”
ব্রাজিলের ডিফেন্ডার আলেক্স সান্দ্রো ফাইনালে কোনো ফেভারিট দেখছেন না। সান্দ্রোর সঙ্গে একমত পেরু অধিনায়ক পাওলো গেররেরো।
“যদি চান তাহলে আপনারা ব্রাজিলকে ফেভারিট বলতে পারেন। কিন্তু আমাদের কাছে মাঠে কোনো ফেভারিট নেই। আমাদের খুব আন্তরিক থাকতে হবে এবং নিজেদের কাজ করতে হবে।”
“এ মুহূর্তে অনেক মানুষ পেরুর প্রতি শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে না। কিন্তু ব্রাজিলের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে এবং আমি নিজের দেশকেও শ্রদ্ধা করি।”
নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা দশক কাটাচ্ছে পেরু। কোপা আমেরিকার গত চার আসরের তিনটির সেমি-ফাইনাল খেলেছে তারা। ২০১১ সালে উরুগুয়ে এবং ২০১৫ সালে চিলির কাছে সেরা চারে হারা পেরু দুইবারই তৃতীয় হয়েছিল। ১৯৮২ সালের পর গত রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম বিশ্বমঞ্চে খেলতে নামে দলটি।
লাতিন আমেরিকার ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে ব্রাজিল সর্বশেষ সাফল্য পায় ২০০৭ সালে। ১৯৭৫ সালে সর্বশেষ শিরোপা জেতার পর তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলবে পেরু।