ভিএআর প্রযুক্তির ব্যবহার না দেখে ক্ষুব্ধ মেসি-আগুয়েরো

কোপা আমেরিকাতে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির অসংখ্য ব্যবহার হলেও ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের দুটি পেনাল্টি আবেদনের ক্ষেত্রে এর সহায়তা নেননি রেফারি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার দুই তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি ও সের্হিও আগুয়েরো।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2019, 10:29 AM
Updated : 3 July 2019, 04:40 PM

বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে বেলো হরিজন্তেতে কোপা আমেরিকার সেমি-ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হারে আর্জেন্টিনা। গাব্রিয়েল জেসুসের গোলে এগিয়ে যাওয়া স্বাগতিকরা দ্বিতীয়ার্ধে রবের্তো ফিরমিনোর গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে।

দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার দানি আলভেস আগুয়েরোকে ট্যাকল করে ফেলে দিয়েছে মনে হলেও রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজাননি। প্রতিআক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিরমিনো। রেফারি ফাউল না দেওয়ায় আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার হুয়ান ফইথ বিস্ময়ে এমনই থমকে গিয়েছিলেন যে জেসুসের দৌড় থামানোর কোনো চেষ্টা করেননি যা থেকে গোলটির সূচনা।

পরে একটি কর্নারের সময় ব্রাজিলের আর্থারের সঙ্গে সংঘর্ষে আর্জেন্টিনার নিকোলাস ওতামেন্দি পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের আবেদনে কর্ণপাত করেননি রেফারি।

অথচ কোপা আমেরিকার এবারের প্রতিযোগিতায় আগের ম্যাচগুলোতে ভিএআরের ভুরি ভুরি ব্যবহার হয়েছে। ম্যাচের ফলেও অনেক ভূমিকা রেখেছে এই প্রযুক্তি। উরুগুয়ে-পেরু কোয়ার্টার-ফাইনালে উরুগুয়ের তিনটি গোল বাতিল হয় ভিএআরের মাধ্যমে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে চিলি গোল পেয়েছে এই প্রযুক্তির সহযোগিতায়।

গ্রুপ পর্বেও লম্বা সময় ধরে ভিডিও দেখে অনেক গোল বাতিল করেছেন রেফারি। আবার রিভিউ করে কয়েকটি পেনাল্টি দেওয়া হয়েছিল ফাউলের কোনো রকম আবেদন না হলেও।

ব্রাজিল ম্যাচে তাই ভিএআরের ব্যবহার না দেখে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মেসি, যাকে সচরাচর এমন ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায় না।

“এই কোপা আমেরিকাতে রেফারিরা অনেক ফালতু ফাউলের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন কিন্তু আজ একবারের জন্যেও ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলো না।”

“এটা খতিয়ে দেখা উচিত এবং আমি আশা করি, একটা দলের পক্ষ নিয়ে মাঠের ভারসাম্য নষ্ট করা এই রেফারিদেরকে কিছু করবে কনমেবল।”

“সত্যিই আমরা খুব ক্ষুব্ধ। কেননা, আমরা খুবই ভালো খেলেছিলাম। আমাদের অনেক প্রচেষ্টা ছিল কিন্তু এভাবে শেষ হওয়াটা আমাদেরকে ব্যথিত করেছে।”

“আমি রেফারির সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং তিনি বলেছিলেন আমাদেরকে শ্রদ্ধা করবেন, বিষয়গুলো দেখভাল করবেন, কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও সেটা আমি দেখিনি।”

মেসির মতোই ক্ষুব্ধ ম্যানচেস্টার সিটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আগুয়েরো।

“তারা আমাদের বলেছিল ভিএআর হবে পঞ্চম রেফারির মতো কিন্তু যখন বিষয়গুলো এভাবে পাল্টে যায়, তখন আমি বলব এটা ছিলই না।”

“আমি ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলাম এবং আলভেস পা চালিয়ে আমাকে থামিয়ে দিল। এটা পরিষ্কার ফাউল ছিল। এতটাই পরিষ্কার ফাউল ছিল যে ফইথ দাঁড়িয়ে পড়েছিল এবং অপেক্ষা করছিল ফাউল দেওয়া হবে।”