কষ্টের জয়ে এফএ কাপের ফাইনালে সিটি

প্রায় চার দশক আগে সবশেষ এফএ কাপের ফাইনালে খেলা ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিওন লড়াই করল প্রাণপণে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অগোছালো, অপরিকল্পিত ফুটবল খেলল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2019, 06:48 PM
Updated : 6 April 2019, 06:48 PM

প্রথম সেমি-ফাইনালে শনিবার গাব্রিয়েল জেসুসের একমাত্র গোলে জিতেছে সিটি। 

ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই ব্রাইটনকে চেপে ধরে সিটি। সুফলও পায় দ্রুত। চতুর্থ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন জেসুস। কেভিন ডি ব্রুইনের চমৎকার ক্রসে ডাইভিং হেডে জাল খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

শুরুতেই পিছিয়ে পড়া ব্রাইটন দ্রুত গুছিয়ে নেয় নিজেদের রক্ষণ। ঠেকিয়ে যায় সিটির একের পর এক আক্রমণ। সুযোগ পেলে পাল্টা আক্রমণে কখনও কখনও ভীতিও ছড়ায় দলটি। ৩৯তম মিনিটে তারা পায় প্রথমার্ধে নিজেদের সেরা সুযোগ। অ্যান্থনি এনকার্টের বুলেট গতির শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলেছিল ব্রাইটন। ৫৪তম মিনিটে কর্নারে শেন ডাফির হেড জালে পাঠাতে কেবল একটা টোকার দরকার ছিল গ্লেন মারির। দারুণ দক্ষতায় গোললাইন থেকে দলকে বিপদমুক্ত করেন এমেরিক লাপোর্ত।

গোলের প্রায় এক ঘণ্টা পর দ্বিতীয়বারের মতো কোনো শট লক্ষ্যে রাখতে পারে সিটি। ৬৪তম মিনিটে রাহিম স্টার্লিংয়ের বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ব্যর্থ করে দেন ব্রাইটন গোলরক্ষক ম্যাট রায়ান।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা ব্রাইটন চেপে ধরে সিটিকে। আক্রমণের ঝাপটায় কাঁপিয়ে দেয় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু ১৯৮৩ সালে সবশেষ এফএ কাপের ফাইনালে খেলা ব্রাইটন ভাঙতে পারেনি প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ।

যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ আসে স্টার্লিংয়ের সামনে। প্রতি আক্রমণ থেকে একা পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে দলকে হতাশ করেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।

পাঁচবারের এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন সিটি জেসুসের গোলে উঠে যায় ফাইনালে। ২০১০-১১ মৌসুমে সবশেষ এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলটি আগামী ১৮ মে ওয়েম্বলিতেই খেলবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে। রোববার এই মাঠেই দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে ওয়াটফোর্ড ও উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স।