প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার রাতে ৪-১ গোলে জিতে শেষ দিকে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া রিয়াল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন হারের পর জয়ের দেখা পেল প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। তাদের অন্য দুই গোলদাতা রাফায়েল ভারানে ও লুকা মদ্রিচ।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে কোপা দেল রেতে সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বে বার্সেলোনার কাছে ৩-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় রিয়াল। এ মাসের শুরুতে লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে ১-০ গোলে আবারও হারে তারা। আর গত মঙ্গলবার আয়াক্সের কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় মাদ্রিদের দলটি। এই তিন ম্যাচই ঘরের মাঠে খেলেছিল স্পেনের সফলতম ক্লাবটি। অবশেষে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের দেখা পেল তারা।
তিন মিনিট পর গুয়ার্দিওলা জালে বল পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। দুই মিনিট পর আবারও রিয়ালের জালে বল এবং আবারও ভিএআর ও অফসাইডের বাঁশি!
২৯তম মিনিটে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় লিগ ও কাপ মিলিয়ে আগের ১৩ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পাওয়া দলটি। সাইডলাইন থেকে সতীর্থের দূরের পোস্টে বাড়ানো ক্রসে দারুণভাবে গোলমুখে বল বাড়ান গুয়ার্দিওলা। অনায়াসে বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে গোলটি করেন মিডফিল্ডার মোহামেদ তুহামি।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম তিন মিনিটে আবারও এগিয়ে যাওয়ার দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিল ভাইয়াদলিদ। প্রথমবার আন্তোনিওর ক্রসে গোলমুখে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি তুহামি। দ্বিতীয়বার লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি।
৫১তম মিনিটে বেনজেমার সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় রিয়াল। ওদ্রিওসোলা ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় তারা। আর ৫৯তম মিনিটে টনি ক্রুসের কর্নারে হেডে ব্যবধান বাড়ান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
চলতি লিগে এই নিয়ে ১৩ গোল করলেন বেনজেমা।
প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ভাইয়াদলিদ। উল্টো ৮৫তম মিনিটে বেনজেমার পাস পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে জয় নিশ্চিত করেন মদ্রিচ।
২৭ ম্যাচে ১৬ জয় ও তিন ড্রয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫১।
শনিবার রায়ো ভাইয়েকানোকে ৩-১ গোলে হারানো বার্সেলোনা ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
শনিবারের অন্য ম্যাচে লেগানেসকে ১-০ গোলে হারানো আতলেতিকো মাদ্রিদ ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে।