বুধবার রাতে শালকের মাঠে পাঁচ গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি ৩-২ ব্যবধানে জেতে সিটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের টানা পঞ্চম জয়।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত সিটি। বাঁ দিক থেকে দাভিদ সিলভার ক্রসে আগুয়েরোর হেড ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান স্বাগতিক গোলরক্ষক।
শুরু থেকে প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রাখা সিটি ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় গোলরক্ষকের বাজে ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে। সতীর্থের ব্যাক পাস থেকে পাওয়া বল রালফ ফারমান দুর্বল শটে বাড়ান সালিফ সানের উদ্দেশে। তার পেছনে থাকা দাভিদ সিলভা দ্রুত দৌড়ে এসে বলের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেন আগুয়েরোকে। নিখুঁত টোকায় জাল খুঁজে নেন ছন্দে থাকা আর্জেন্টিনার তারকা ফরোয়ার্ড।
৩৮তম মিনিটে সফল স্পট কিকে শালকেকে সমতায় ফেরান নাবিল বেন্তালেব। দানিয়েল কালিগিরির শট ডি-বক্সের ভেতরে সিটির ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্দির হাত ছুঁয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে গেলে পেনাল্টি আবেদন করে স্বাগতিকরা। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে স্পট কিকের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি; যদিও দেখা যায় ওতামেন্দি হাত পেছনে নেওয়ার চেষ্টা করলেও বল ঠিকই লেগে যায়।
চলতি বুন্ডেসলিগায় খোড়াতে থাকা শালকেকে প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরেকটি সফল স্পট কিকে এগিয়ে নেন নাবিল। ডি-বক্সে সানেকে সিটির ফের্নানদিনিয়ো সানেকে ফাউল করায় পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
৭৪তম মিনিটে ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে কেভিন ডি ব্রুইনের ফ্রি কিক প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে সিটির হতাশা বাড়ে। ৮৪তম মিনিটে সানের ফ্রি কিক জালে জড়ালে সমতা ফিরে ম্যাচে।
৯০তম মিনিটে গোলরক্ষক এদেরসনের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে নিখুঁত শটে সিটিকে এগিয়ে নেন স্টার্লিং। বাকি সময়টুকু পার করে দিয়ে দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।
আগামী ১২ মার্চে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।
এদিন শেষ ষোলোর অন্য ম্যাচে নিজেদের মাঠে ইউভেন্তুসকে ২-০ গোলে হারায় আতলেতিকো মাদ্রিদ।