লাৎসিওর মাঠে রোববার রাতে ২-১ গোলে জেতে ইউভেন্তুস।
ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণে ইউভেন্তুসকে কোণঠাসা করে ফেলে স্বাগতিকরা। তবে তাদের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে ছিলেন স্ট্যাসনি। পোলিশ এই গোলরক্ষকের অসাধারণ দৃঢ়তায় প্রথমার্ধে জাল অক্ষত থাকে শিরোপাধারীদের।
ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি লাৎসিও পায় ১৯তম মিনিটে। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আনহেল কোররেয়ার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান স্ট্যাসনি। খানিক পর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার লুইস আলবের্তোর জোরালো শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন তিনি।
৩৮তম মিনিটে ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো পারোলোর শটও ঠেকিয়ে দেন স্ট্যাসনি। চার মিনিট পর চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়েছিলেন লাৎসিওর ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড চিরো ইম্মোবিলে; কিন্তু শেষ মুহূর্তে ছুটে গিয়ে দলকে বাঁচান ডিফেন্ডার দানিয়েলে রুগানি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা দারুণ হতে পারতো ইউভেন্তুসের। কিন্তু দগলাস কস্তার দূরের পোস্টে বাড়ানো বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন রোনালদো। দুই মিনিট পর আলবের্তোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা বাড়ে লাৎসিওর।
পাঁচ মিনিট পর ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পান ইম্মোবিলে। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। কিছুক্ষণ পর মিডফিল্ডার মিলিনকোভিচ-সাভিচের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
খেলার ধারার বিপরীতে ৭৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইউভেন্তুস। রদ্রিগো বেন্তানকুরের পাস পেয়ে পাওলো দিবালার প্রথম ছোঁয়ায় নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। কিন্তু বল চলে যায় কানসেলোর পায়ে। ঠাণ্ডা মাথায় গোলটি করেন তিনি মিনিট আগে কস্তার বদলি নামা পর্তুগিজ এই ডিফেন্ডার।
চলতি লিগে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড এই নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করলেন।
আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত ইউভেন্তুস ২১ ম্যাচে ১৯ জয় ও দুই ড্রয়ে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ১১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নাপোলি। তৃতীয় স্থানে থাকা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৪০।
নয় জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে লাৎসিও।