রয় এমারসন ও রজার ফেদেরারকে ছাড়িয়ে এই গ্র্যান্ড স্ল্যামে সর্বোচ্চ সাতবার চ্যাম্পিয়ন হলেন পুরুষ এককের শীর্ষ বাছাই।
মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় রোববার ১৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নাদাল পাত্তাই পাননি ৩১ বছর বয়সী জোকোভিচের কাছে। আগের ছয় রাউন্ডে কোনো সেট না হারা স্প্যানিয়ার্ড দুই ঘণ্টা চার মিনিটের লড়াইয়ে হেরেছেন ৬-৩, ৬-২, ৬-৩ গেমে।
গত বছর উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন জয়ী জোকোভিচ এ নিয়ে টানা তৃতীয় ও মোট ১৫টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতলেন। মার্কিন কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসকে পেছনে ফেলে পুরুষ এককে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের তালিকায় এককভাবে তৃতীয় স্থানে উঠলেন তিনি। শীর্ষ দুই স্থানে আছেন রজার ফেদেরার (২০) ও রাফায়েল নাদাল (১৭)।
নাদালের বিপক্ষে শেষ ১৬ লড়াইয়ের ১৩টিতেই জিতলেন জোকোভিচ। হার্ড কোর্টে ২০১৩ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনালের পর আর তাকে হারাতে পারেননি নাদাল। সব মিলে দুজনের ৫৩ বারের দেখায় ২৮ জয় নিয়ে এগিয়ে আছেন জোকোভিচ।
শিরোপা জয়ের পর জোকোভিচ বলেন, “আমার অস্ত্রোপচার হয়েছিল ঠিক ১২ মাস আগে। আজ আপনাদের সামনে এখানে দাঁড়িয়ে থাকা, এই শিরোপা জিততে পারা এবং চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের তিনটিতে জয় সত্যি অসাধারণ। ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।”
“আমি আমার দলকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আপনারা সব সময় আমার পাশে থাকেন, আমার খারাপ সময়ে আমাকে মেনে নিয়েছেন। সবকিছু মিলে দারুণ সফল একটি পরিকল্পনা যা খুব ভালোভাবে কাজ করছে।”
ফাইনালের পর ২০০৯ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী নাদাল বলেন, “প্রথমেই আমি নোভাক ও তার কোচিং স্টাফদের অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। আজ রাতে ও গত দুই সপ্তাহে অসাধারণ মানের টেনিস হলো।”
“আজকের রাতটা যদিও আমার ছিল না, কিন্তু চোট থেকে ফিরে আজ আমি যেখানে আছি তা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
“আমি শুধু একটা কথা বলতে পারি – আরও ভালো খেলোয়াড় হয়ে উঠতে আমি কঠোর পরিশ্রম এবং লড়াই করা চালিয়ে যাব।”