কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে বুধবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। গতবার বাহরাইনের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কাছে হেরে সেরা চার থেকে বিদায় নিয়েছিল দল।
আগামী শুক্রবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার পঞ্চম আসরের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ফিলিস্তিন-তাজিকিস্তান।
২১তম মিনিটে বিপলু আহমেদ থেকে পাওয়া বল নাবীব নেওয়াজ জীবন বাড়ান ডি-বক্সের মধ্যে থাকা মাহবুবুর রহমান সুফিলকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু ফিলিস্তিনের তামের সালেহ বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোলরক্ষকের উদ্দেশ্যে ব্যাকপাস দিলে ভারী মাঠে তা আটকে যায়। সুফিল শট আটকে বাংলাদেশকে সমতায় ফিরতে দেননি ডিফেন্ডার মুসাব।
৬০তম খালেদ সালেমের ছোট ডি বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া শট ফিরিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে দেননি তপু। এরপর টানা তিনটি কর্নার পায় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে খেলতে থাকা বাংলাদেশ, কিন্তু গোল মেলেনি।
৭০তম মিনিটে সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া খালেদ একা পেয়ে যান গোলরক্ষককে; এবারও তার শট আটকে দেন রানা।
৮৮তম মিনিটে ফিলিস্তিনের বাতরান ইসলামের শট অল্পের জন্য দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। যোগ করা সময়ে দাব্বাঘের শটও বেরিয়ে যায় দূরের পোস্টে ঘেঁষে।
শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে দুটি কর্নার পেলেও প্রতিপক্ষের লম্বা খেলোয়াড়দের ডিঙিয়ে হেড করতে পারেননি সবুজরা। উল্টো সতীর্থের থ্রো ইন দাব্বাঘ হেড করে নামিয়ে দেওয়ার পর নিখুঁত শটে বল জালে পৌঁছে ফিলিস্তিনের জয় নিশ্চিত করেন বদলি ফরোয়ার্ড মারাবাহ সামেহ।
এ নিয়ে বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য ধরে রাখল ফিলিস্তিন। আগের তিন দেখায় দলটি জিতেছিল ২টিতে। আর ২০০৬ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল।