মেসি-মুনিরের নৈপুণ্যে হার এড়াল বার্সেলোনা

আথলেতিকে বিলবাওয়ের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই গোল খেয়ে হারের শঙ্কায় পড়েছিল বার্সেলোনা। তবে বদলি হিসেবে নামা লিওনেল মেসির সহায়তায় শেষ দিকে আরেক বদরি খেলোয়াড় মুনির এল হাদ্দাদির গোলে স্বস্তির এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2018, 04:11 PM
Updated : 29 Sept 2018, 09:26 PM

কাম্প নউয়ে শনিবার রাতে স্প্যানিশ লিগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।

এ নিয়ে লিগে টানা তিন ম্যাচ জয়শূন্য থাকল এরনেস্তো ভালভেরদের দল। গত শনিবার জিরোনার সঙ্গে নিজেদের মাঠে ২-২ ড্রয়ের পর বুধবার লেগানেসের মাঠে ২-১ গোলে হেরে যায় বার্সেলোনা।

ম্যাচের শুরু থেকে রক্ষণে চাপ বাড়ানো বিলবাও দ্বাদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। তবে ইনাকি উইলিয়ামসের হাফ-ভলি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে রাউল গার্সিয়ার ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।

খানিক পর টের স্টেগেনকে একা পেয়েছিলেন উইলিয়ামস। গোলরক্ষককে কাটালেও শট নিতে দেরি করেন স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড, ছুটে গিয়ে দলকে রক্ষা করেন আর্তুরো ভিদাল।

২৬তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বার্সেলোনা। গোলরক্ষককে একা পেয়ে নিচু শট নেন লুইস সুয়ারেস, পা বাড়িয়ে ঠেকিয়ে দেন স্পেনের উনাই সিমোন।

৪১তম মিনিটে কাম্প নউকে স্তব্ধ করে দিয়ে এগিয়ে যায় লিগে গত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জেতা বিলবাও। বাঁ দিক থেকে স্বদেশি মিডফিল্ডার মার্কেল সুসায়েতার ক্রস ছোট ডি-বক্সের সামনে পেয়ে শূন্যে পা বাড়িয়ে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার অস্কার দে মার্কোস। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে সের্হিও রবের্তোকে তুলে সের্হিও বুসকেতস এবং আর্তুরো ভিদালের জায়গায় মেসিকে নামান কোচ। তাতে আক্রমণের ধার বাড়ে।

৬২তম মিনিটে গোলও পেয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। কিন্তু উসমান দেম্বেলের ক্রসে ফিলিপে কৌতিনিয়োর ভলিতে বল ড্রপ খেয়ে ক্রসবারে লাগে। ৭৭তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে আবারও গোলবঞ্চিত হয় স্বাগতিকরা। মেসির জোরালো শট লাগে পোস্টে।

৮৪তম মিনিটে অবশেষে সমতাসূচক গোলের দেখা পায় তারা। গোলটিতে মূল কৃতিত্ব মেসির। তার প্রথম শট গোলরক্ষক ঠেকানোর পর আলগা বল ছুটে গিয়ে ডান পায়ের শটে ছোট ডি-বক্সে বাড়ান অধিনায়ক। টোকা দিয়ে বল ঠিকানায় পাঠান তিন মিনিট আগে বদলি হিসেবে নামা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড এল হাদ্দাদি।

যোগ করা সময়ে মেসির আরেকটি দারুণ পাস ডি-বক্সে পেয়েছিলেন ইভান রাকিতিচ। কিন্তু উড়িয়ে মেরে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার সুযোগ নষ্ট করেন ক্রোয়াট এই মিডফিল্ডার।

সাত ম্যাচে চার জয় ও দুই ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ১৪।