নিজেদের মাঠে গতবার প্রথম আসরের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ফাইনালের আগে প্রাথমিক পর্বে ভারতের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছিল মেয়েরা।
ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে আগামী শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে ও নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব পার হওয়া বাংলাদেশ সেমি-ফাইনালে স্বাগতিক ভুটানকে হারায় ৫-০ গোলে।
শ্রীলঙ্কা ও ভুটানকে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হওয়া ভারত সেমি-ফাইনালে নেপালকে হারায় ২-১ গোলে। চলতি প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত গোল না খাওয়া দল বাংলাদেশ। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলেই জয়ের আশাবাদ জানালেন।
গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তার জানালেন, সেমি-ফাইনালে স্বাগতিক ভুটানকে হারিয়ে তারা আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন। ভারত ম্যাচেও গোলপোস্ট আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।
“সেমি-ফাইনালে স্বাগতিক ভুটানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিতে ফাইনালে ওঠায় আমি ভীষণ খুশি। এখন আমরা সেরাটা দিয়ে শিরোপা জয়ের জন্য আরও সিরিয়াস। একজন গোলরক্ষক হিসেবে গত তিন ম্যাচের মতো ফাইনালেও আমি পোস্ট রক্ষা করব।”
গত তিন ম্যাচে গোল করা তহুরা খাতুন দিয়েছেন ভারতের জালে গোল উৎসব করার প্রতিশ্রুতি।
“আমরা ফাইনালে উঠেছি। এখন আমরা আবারও শিরোপা উঁচিয়ে ধরার জন্য ভারতের বিপক্ষে শতভাগ দিব। যত দ্রুত সম্ভব আমি ফাইনালে গোল করতে চাই, যে কাজটা আমি দলের হয়ে এ প্রতিযোগিতার গত ম্যাচগুলোতে করেছি।”
অধিনায়ক মারিয়া মান্ডার চাওয়া শুরু থেকে তার সতীর্থরা যেন ভারতকে চাপে রেখে গোল আদায় করে নেয়।
সহ-অধিনায়ক আঁখি খাতুনও সুর মিলিয়েছেন সতীর্থদের সঙ্গে, “আমরা লক্ষ্য এবং স্বপ্ন ফাইনাল জেতা এবং ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরা।”
ভারতের কোচ ফিরমিন ডিসৌজা সমীহ করেছেন বাংলাদেশকে, “বাংলাদেশ খুবই ভালো এবং গতিময় দল। ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা আমাদের কৌশলে খেলব। ফাইনালে ভালো একটা লড়াই হবে।”