বিশ্বকাপের শেষ আটে ম্যানচেস্টার সিটির আধিপত্য

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠা অনেক দলেই রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির খেলোয়াড়দের উপস্থিতি। টের পাওয়া যাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটির দাপট।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2018, 05:48 PM
Updated : 5 July 2018, 05:48 PM

২০১৭-১৮ মৌসুমে রেকর্ড ১৯ পয়েন্টের ব্যবধানে লিগ শিরোপা জেতা সিটির ১১ জন খেলোয়াড় রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত টিকে আছে। শেষ আটের চার দলে আছে তাদের উপস্থিতি। ম্যানচেস্টার সিটির অধিনায়ক বেলজিয়ামের ভিনসেন্ট কোম্পানি ও মিডফিল্ডার কেভিন ডে ব্রুইনে ক্লাব সতীর্থ ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল জেসুস, ডিফেন্ডার দানিলো, মিডফিল্ডার ফের্নানদিনিয়োর মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কাজানে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হবে ব্রাজিল-বেলজিয়াম ম্যাচটি।

কোয়ার্টার-ফাইনালে সুইডেনের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড দলেও রয়েছে সিটির বেশ কয়জন খেলোয়াড়। গ্যারেথ সাউথগেটের দলে আছেন ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়ান ডেলফ ও ফরোয়ার্ড রাহিম স্টার্লিং। সিটির একজন খেলোয়াড় আছে শেষ আটে ওঠা আরেক দল ফ্রান্সে, ডিফেন্ডার বাঁজামাঁ মাঁদি।   

সিটির গোলরক্ষক এদেরসনও আছে ব্রাজিল দলে। সব মিলিয়ে ইংলিশ ক্লাবটির মোট ১১ জন খেলোয়াড় আছে এবারের বিশ্বকাপের শেষ আটে, যা অন্য যে কোনো ক্লাবের চেয়ে বেশি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ জন করে খেলোয়াড় আছে লা লিগা চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা ও ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজির। বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের একজন মাত্র খেলোয়াড় কোয়ার্টার-ফাইনাল আছেন; ফরাসি মিডফিল্ডার কোরোঁতাঁ তোলিসো।

সিটির হয়ে গত মৌসুমে দারুণ খেলেন লেরয় সানে; ১০ গোল করার পাশাপাশি অবদান রাখেন ১৫টিতে। তবুও জার্মানির বিশ্বকাপ দলে জায়গা মেলেনি এই ফরোয়ার্ডের। তাকে দলে নিলে ইওয়াখিম লুভের দলের বিশ্বকাপ মিশন হয়তো আরেকটু ভালো হতে পারতো। 

গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া জার্মানি এবারের বিশ্বকাপে গোল করেছে মাত্র দুটি। সানের মতো ফর্মে থাকা একজন খেলোয়াড়কে লুভের না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেক ধারাভাষ্যকার।

তবে সিটির সব খেলোয়াড়েরই যে বিশ্বকাপ ভালো কাটছে, এমনটা বলা যাচ্ছে না। ক্লাবের হয়ে দারুণ ফর্ম রাশিয়ায় টেনে আনতে পারেননি স্পেনের দাভিদ সিলভা, আর্জেন্টিনার নিকোলাস ওতামেন্দি ও সের্হিও আগুয়েরো। 

গুয়ার্দিওলার শিষ্যদের বিশ্বকাপে দাপট দেখানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ী স্পেন দলে আধিপত্য ছিল গুয়ার্দিওলার তখনকার ক্লাব বার্সেলোনার। স্পেনের ওই দলে ৭ জন ছিল কাতালান দলটির।

পরে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নেন গুয়ার্দিওলা। ২০১৪ সালে ব্রাজিলে বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানি দলেও আধিপত্য ছিল তার ক্লাবের খেলোয়াড়দের। জার্মানির ওই দলটিতে ছিল ওই সময়ের বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটির ৭ জন খেলোয়াড়।

যদি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় এবং গুয়ার্দিওলার সিটির সাফল্য ইংল্যান্ড জাতীয় দলে প্রতিফলিত হয় সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড সমর্থকরা স্প্যানিশ কোচ গুয়ার্দিওলাকে ধন্যবাদই দেবেন।