সমালোচনার পর বিশ্বকাপে ভিএআর প্রযুক্তির সংস্কার

বিশ্বকাপে ব্যবহৃত ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির ত্রুটি খুঁজে বার করে তা সংস্কারের কথা বলেছেন ফিফার রেফারিদের কমিটির প্রধান পিয়েরলুইজি কল্লিনা। ভিএআর প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা মেনে নিয়ে আরও উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2018, 07:55 AM
Updated : 30 June 2018, 07:55 AM

ফিফা জানিয়েছে, গ্রুপ পর্বের ৪৮টি ম্যাচে মোট ৩৩৫টি ঘটনা ভিএআর প্রযুক্তিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতি ম্যাচে গড়ে প্রায় সাতটি। ১৭টি ঘটনায় ভিএআর রিভিউ নেওয়া হয়েছে। ১৪ বার মাঠের রেফারিরা সাহায্য চেয়েছেন প্রযুক্তির, তিনবার ভিএআর টিম নিজেরাই সাহায্য করেছে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রেফারিকে।

৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মাঠের রেফারিরা প্রযুক্তির সহায়তা ছাড়াই সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্যে সেগুলো ৯৯.৩ শতাংশ পর্যন্ত সঠিক করা সম্ভব হয়েছে।

গ্রুপ পর্বে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে সার্বিয়ার আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলেও তা নজর এড়িয়ে যায় রেফারির। এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক মানছেন কল্লিনা।

“আমরা সব সময় বলেছি যে ভিএআর নিখুঁত নয়। এতে এখনও ভুল ব্যাখ্যা বা ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, আপনারা একমত হবেন যে ৯৯.৩ শতাংশ নিখুঁতের খুব কাছাকাছি।”

“শুরু থেকে সঠিক হওয়া অসম্ভব। আমরা হস্তক্ষেপ করেছিলাম এবং ছোট খাটো কিছু পরিবর্তন এনেছিলাম।”

“এটা মজার যে আপনারা দশমিক ৭ শতাংশ ভুল নিয়ে আগ্রহী এবং ৯৯.৩ শতাংশ নিয়ে নয়। আমি মনে করি যে ৪৮টা ম্যাচের পর ৯৯.৩ শতাংশ নির্ভুল হওয়াটা গ্রহণযোগ্য সংখ্যা।”

বিশ্বকাপে আলোচনা হয়েছে ভিএআর ব্যবহারে সময় নষ্ট হওয়া করা নিয়েও। কল্লিনা জানান, একটি ভিএআর সিদ্ধান্ত নিতে গড়ে ৮০ সেকেন্ড সময় লেগেছে।

“খুব খুব নিশ্চিত হতে ভিএআর পাঁচ বা দশ সেকেন্ড বেশি নিতে পছন্দ করে। যথার্থতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি যদি ১০ সেকেন্ড খরচও হয়।”