বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ আবাহনী খেলবে ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে। প্রথম সেমি-ফাইনালে ফরাশগঞ্জও সাডেন ডেথে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়েছিল।
দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে শুক্রবার ম্যাচের শুরু থেকে ভালো খেললেও গোলের দেখা পায়নি আরামবাগ। ২১তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সেরা সুযোগটি পায় দলটি। ডান দিক থেকে আফজাল মিয়ার বাড়ানো ক্রসে ফরোয়ার্ড রফিকুল ইসলাম রুমনের নেওয়া হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৩৪তম মিনিটে ডি বক্সের জটলার মধ্যে থেকে ফাহিদ উদ্দিন লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বলার মতো প্রথম সুযোগ পায় আবাহনী। কিন্তু ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে দীপক রায়ের ফ্রি-কিক রক্ষণদেয়ালের ওপর দিয়ে সোজা গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যায়।
৫৪তম মিনিটে অপু সরকার গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হলে আরামবাগের হতাশা আরও বাড়ে। একটু পর ফ্রি-কিক থেকে দীপক কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিতে পারেননি আবাহনীকে। যোগ করা সময়েও দুই দল গোল করতে ব্যর্থ হলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারের প্রথম পাঁচ ৩-৩ সমতায় শেষ হয়। আরামাবাগের হাসিবুল ইসলাম, ফাহিম উদ্দিন সোহেল, সোহেল রানা বাবু গোল করেন। লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হন সাদেকুজামান ফাহিম ও রফিকুল ইসলাম রুমন। আবাহনীর দীপক, শাহিন আলম ও রফিকুল ইসলাম সুমন গোল করেন। ব্যর্থ হন আক্কাস আলি, আপন চন্দ্র রায়।
এরপর সাডেন ডেথেও নাটকীয়তা। আরামবাগের মারুফ হোসেন, রাজন হাওলাদার এবং আবাহনী রিমন হোসেন, নাজমুল হোসেন আকন্দ গোল করলে সমতা থেকে যায়। আরামবাগের মোহাম্মদ সাগর দুর্বল শটে বলে তুলে দেন গোলরক্ষকের হাতে। পরে ওমর ফারুক মিঠু লক্ষ্যভেদ করলে ফাইনালে ওঠার আনন্দে মাতে আবাহনী।