ফুটসালে অভিজ্ঞতা অর্জনই মূল লক্ষ্য মেয়েদের

১৪ জনের দলে একমাত্র সাবিনা খাতুনেরই ফুটসালে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাও সেটা ক্লাব পর্যায়ে। এবারই প্রথম মেয়েরা জাতীয় দলের হয়ে ফুটসাল খেলতে থাইল্যান্ডে যাচ্ছে। প্রথমবার খেলতে যাওয়ার কারণে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও কেবল অভিজ্ঞতা অর্জনের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2018, 01:37 PM
Updated : 29 April 2018, 03:56 PM

আগামী সোমবার বেলা ৪টায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে দল। বুধবার মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এএফসি ওম্যান্স ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করবে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপের অপর দুই দল ভিয়েতনাম ও চাইনিজ তাইপে।

ফাইভ-এ-সাইড সংস্করণের এই টুর্নামেন্টে বদলি নামানোর ক্ষেত্রে নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। ১৪ জনের দলের সবাই খেলতে পারে। দুই অর্ধে ২০ মিনিট করে খেলা, মাঝে ১৫ মিনিটের বিরতি।

ফুটবলের চেয়ে ফুটসাল গতিময়। দলের সাফল্যের ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের প্রাধান্যও এখানে বেশি। কোচ রব্বানীর বিশ্বাস, থাইল্যান্ড সফরে তার শিষ্যদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের উন্নতি হবে অনেক।

“এবারই আমরা প্রথম ফুটসাল খেলতে যাচ্ছি। এটা মেয়েদের জন্য বিরাট অভিজ্ঞতা হবে। ফুটবল আমরা শুরু করেছিলাম আনাড়ি খেলোয়াড়দের নিয়ে। ফুটসালে কিন্তু আমাদের শুরুটা হচ্ছে ভালো খেলোয়াড়দের নিয়ে।”

“এই খেলায় গতি বেশি। মনোযোগও দিতে হয় বেশি। এখানে মেয়েদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের উন্নতির সুযোগ থাকবে বেশি। ৪২ জনের মধ্যে আমরা ১৪ জনকে বেছে নিয়েছি। আশা করি, মেয়েরা সর্বোচ্চটা দিয়ে জানান দেবে, ফুটসালেও আমরা ভালো করতে পারি।”

প্রতিপক্ষ সম্পর্কে জানা শোনা না থাকায় রোববার বাফুফের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাবিনাও কোচের মতো জানালেন অভিজ্ঞতা নেওয়াই মূল লক্ষ্য তাদের।

“এটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ। প্রতিপক্ষ সম্পর্কেও আমরা কিছু জানি না। তবে টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দেওয়া সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমরা।”