চার বছর আগে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপটা মোটেও সুখকর ছিল না নেইমারের জন্য। কোয়ার্টার-ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে চোটে ছিটকে যান এই ফরোয়ার্ড। শেষ চারে তাকে ছাড়া খেলতে নেমে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে উড়ে যায় ব্রাজিল।
ওই ব্যর্থতা এবারের বিশ্বকাপে কাটানোর আভাসটা এরই মধ্যে দিয়েছে ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে দাপট দেখিয়ে বাছাইপর্ব থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে তিতের দল। ১৮ ম্যাচে ১২ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল তাদের অবস্থান।
ব্রাজিলকে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক ফুটবলের সোনা জেতানো নেইমারকে রাশিয়া বিশ্বকাপেও অন্যতম ভরসা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় সুযোগটা কাজে লাগাবে বলে বিশ্বাস পেলের।
ব্রাজিলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপ জেতা পেলে বলেন, “এটা তার দ্বিতীয় সুযোগ। দুর্ভাগ্যবশত, ব্রাজিলে যা ঘটেছিল-সেটা ছিল বিপর্যয়।”
বর্তমান ব্রাজিল দলটা প্রতিভাবান খেলোয়াড়ে ভরপুর বলে মনে করেন পেলে। ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচের আগে কোচ এই খেলোয়াড়দের দলে মানিয়ে নিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
“সবাই জানে ইউরোপে ব্রাজিলের সেরা খেলোয়াড়রা আছে।…দল গড়ে তুলতে আমাদের তিন মাসে সময় আছে। তিতে খুবই ভালো একজন কোচ। তবে এখনও দলটাকে নিয়ে এক সঙ্গে তার কাজ করা হয়ে ওঠেনি। তারা সময়টা কম পাবে।”
“তবে খেলোয়াড়দের দিক থেকে নিঃসন্দেহে ব্রাজিলের বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার মতো একটা দল আছে।”