বুধবার নিজেদের মাঠে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ৩-০ গোলে জিতেছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ আটে উঠেছে বার্সেলোনা। ম্যাচের অন্য গোলটি উসমান দেম্বেলের।
কোনো গোল পাননি লুইস সুয়ারেস। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ভীতি ছড়িয়েছেন ঠিকই। উরুগুয়ের স্ট্রাইকার অবদান রেখেছেন মেসির দুই গোলেই।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথম পর্বে পিছিয়ে পড়ার পর শেষ দিকে মেসির গোলেই ১-১ সমতায় ফিরেছিল বার্সেলোনা।
দ্বাদশ মিনিটে দূরপাল্লার শটে বার্সেলোনা গোলরক্ষকের প্রথম পরীক্ষা নেন উইলিয়ান। অবশ্য ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বেশ সহজেই বল আটকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
দ্বিতীয় গোলও নিজেদের ভুলে হজম করে চেলসি। মাঝমাঠে সেস ফাব্রেগাসের ভুলে বল পেয়ে যান মেসি। একজনকে কাটিয়ে, আরেক জনকে দারুণ ক্ষিপ্রতায় এড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান দিকে দেম্বেলেকে পাস দেন। জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। বার্সেলোনার হয়ে এটাই তার প্রথম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে বার্সেলোনার ডি-বক্সে জেরার্দ পিকের চ্যালেঞ্জে আলোনসো পড়ে গেলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন করে চেলসির কোচ-খেলোয়াড়েরা। তবে সাড়া মেলেনি রেফারির। উল্টো রেফারির দিকে হাত ছুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হলুদ কার্ড দেখেন অলিভিয়ে জিরুদ।
৬৩তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন মেসি। সুয়ারেসের ছোট পাস পেয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে কোনাকুনি শটে আবার থিবো কর্তোয়ার দুপায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে জার্মান ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগারের প্রচেষ্টা ক্রসবারে লাগলে ফের হতাশ হতে হয় চেলসিকে।
দিনের প্রথম ম্যাচে বেসিকতাসের মাঠে ৩-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ আটে ওঠে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে ৫-০ গোলে জিতেছিল জার্মান ক্লাবটি।
কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠা বাকি দলগুলো হলো-গত দুবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ, গতবারের রানার্সআপ ইউভেন্তুস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, সেভিয়া ও রোমা।