শনিবার প্রতিপক্ষের মাঠে ২-০ জিতেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি। লুইস সুয়ারেসের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ান জর্দি আলবা।
এস্পানিওলের মাঠে ১-১ ড্র করার পর গত সপ্তাহে ঘরের মাঠে গেতাফের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছিল এরনেস্তো ভালভেরদের দল।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নিজেদের রেকর্ড স্পর্শ করলো ভালভেরদের শিষ্যরা। এর আগে ২০১০-১১ মৌসুমে পেপ গুয়ার্দিওলার অধীনে রেকর্ডটি গড়েছিল বার্সেলোনা।
ম্যাচের শুরুতেই বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনের পরীক্ষা নেয় এইবার। প্রথম ১৫ মিনিটে অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে সামুয়েল উমতিতি-জর্দি আলবাদের ব্যস্ত রাখার চিত্রটাও ছিল কিছুটা অপ্রত্যাশিত।
তিন মিনিট পরেই সমতায় ফিরতে পারতো স্বাগতিকরা। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ফাবিয়ান ওরেয়ানা জোরালো শটে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করলেও বল লাগে ক্রসবারে।
৩৭তম মিনিটে সুয়ারেসের কাটব্যাক পেয়ে মেসির নেওয়া কোনাকুনি শট লাগে দূরের পোস্টে। চার মিনিট পর তার রক্ষণচেরা পাস ধরে ১২ গজ দূর থেকে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে বসেন আলবা।
৫৬তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন এইবারের জাপানি মিডফিল্ডার তাকাশি ইনুই।
৬৬তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। সের্হিও বুসকেতসকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন পাপে দিউপ। রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে পাঞ্চ করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শুরু থেকে দারুণ খেলা চিলির মিডফিল্ডার ওরেয়ানা। খানিক পর রেফারির আরেকটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় দলটির কোচ হোসে লুইস মেন্দিলিবার ডাগআউট থেকে বহিষ্কৃত হন।
২৪ ম্যাচে ১৯ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৬২। ১০ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা আতলেতিকো মাদ্রিদ। চতুর্থ স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ২২ ম্যাচে ৪২।
আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে চেলসির মাঠে খেলতে যাবে বার্সেলোনা।