‘আমরা চেপে ধরলেই কেঁপেছে ভারত’

লিগের মতো ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয়ের ব্যবধান বড় হয়নি। তবে দল সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বাড়তি তৃপ্তি পাচ্ছেন মার্জিয়া-মারিয়াদের আক্রমণের চাপে ভারতের কোণঠাসা হয়ে থাকার কথা ভেবে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2017, 02:09 PM
Updated : 24 Dec 2017, 02:23 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডার শামসুন্নাহারের একমাত্র গোলে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ম্যাচজুড়ে আক্রমণাত্মক খেলেন তহুরা-আনুচিংরা। অন্যদিকে প্রতিআক্রমণ নির্ভর খেলে ভারত।

লিগের ম্যাচে ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে ১-০ গোলের জয়ের পর ম্যাচের দলের দাপট বোঝাতে প্রতিপক্ষের অবস্থার কথা টেনে আনেন রব্বানী। আর ফাউলের অভিযোগে প্রথম মিনিটে পাওয়া বাতিল হওয়া গোল নিয়েও অসন্তোষ জানান তিনি।

“শুরুর মিনিটে ওই গোল হলে ম্যাচ তখনই শেষ হয়ে যেত। রেফারি যখন গোল বাতিল করল, তখন ভারত খেলায় ফিরে এল। তবে আমরা যখনই আবার প্রেস করেছি, তখনই ওরা কেঁপে উঠেছে। এরপর শামসুন্নাহার গোল করলে আপনারাও দেখেছেন ওরা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। রেফারিং ছিল নিম্নমানের। ওই সিদ্ধান্তও ভুল ছিল।”

প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ১৩ গোল দিয়েছে। একটিও হজম করেনি। তবে গোলের একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছেন আনুচিং মোগিনি, তহুরা খাতুন, সাজেদা খাতুন। জিতলেও কোচ মানছেন, সুযোগ নষ্ট হওয়া নিয়ে আগামীতে কাজ করতে হবে তাকে।

“গোল খায়নি। এটা অবশ্যই ভালো দিক। আমার ডিফেন্স লাইন এবং গোলরক্ষক মনোযোগী ছিল বলেই সেটা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ১৩টি গোল দিয়েছি। আবারও কিছু সুযোগ নষ্টও করেছি। ফুটবলে সবসময় উন্নতির সুযোগ থাকে। আগামীতে আমাদের এই দিকটা নিয়ে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।”

হাজার দশেক দর্শকের মাঠে আসাটাও বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য, বিশেষ করে মেয়েদের ফুটবলের জন্য ইতিবাচক বলেও জানান রব্বানী।

“আমাদের মেয়েরা খেলেছে, দর্শক এসেছে। ভালো ফুটবল খেললে দর্শক আসবে। অনেক দিন পর দর্শকের চিৎকার শুনলাম। ভালো লাগছে। এটাই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়। এই মেয়েদের দিকে নজর দিতে হবে। এরা দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে।”