কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডার শামসুন্নাহারের একমাত্র গোলে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মারিয়া শিরোপা উৎসর্গ করেন গত সেপ্টেম্বরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া সতীর্থ সাবিনাকে।
“সবাইকে বড় দিনের শুভেচ্ছা। এ শিরোপা সবাইকে উৎসর্গ করলাম। আমরা আনন্দিত। সাবিনা আমার টিমে থাকতে পারত। ও না থাকায় আমরা ওকে উৎসর্গ করলাম।”
প্রথমবারের মতো অধিনায়ক হয়ে শিরোপা উচিয়ে ধরলেন মারিয়া। এই মিডফিল্ডারের আনন্দ তাই যে কারো চেয়ে বেশি। অধিনায়ক জানালেন ভারতকে হারানো মন্ত্রটাও।
“ওদের দুর্বল জায়গা ধরতে পেরেছি। ওরা বেশি ওপরে উঠে আসত। আমরা প্রেস করলে ওরা নার্ভাস হয়ে যেত। এই সুযোগটা আমরা কাজে লাগিয়েছি।”
“আমার হাত ধরে ট্রফি এল। এ বছর (ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে) আমাদের তিনটা দল সাফের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। ছেলেদের দুইটা এবং আমাদের একটা। আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এখানে এত দর্শক দেখে আমরা অনেক উৎসাহিত হয়েছি।”
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন জানালেন আগামীতে আরও ব্যক্তিগত পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা।
“আমি প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছি। আমার টিমের সবাই খুশি। আমাদের কোচও খুশি। ম্যাচের আগে ভালো খেলার ইচ্ছা ছিল। সবাই ভালো খেলেছে।”
“ভাবিনি এই ট্রফি আমি জিতব। ট্রফিটা আমার বদলে দলের অন্য কেউ পেলেও আফসোস থাকত না। আমরা জিতেছি এটাই বড় কথা। এরপর এর চেয়ে বড় ট্রফি জিতব।”
রক্ষণভাগ থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়া শামসুন্নাহারের গোলেই জিতেছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের আগে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে। কোচের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে খুশি শামসুন্নাহার।
“আপনারা স্যারকে আগে প্রশ্ন করেছিলেন যে আমি লেফট ব্যাক হয়ে কিভাবে ফরোয়ার্ডে খেলতে পারব? স্যার চ্যালেঞ্জ করেছিল, শামসুন্নাহার খেলে দেখায় দিবে (হাসি)। আমিও গোল করার চেষ্টা করেছি।”